পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিশ্বে এমন অনেক ঘটনাই ঘটে, যার হয়তো কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। সাধারণের থেকে আলাদা হলে সেটি বিরল বলেই গণ্য হয়। সব থেকে বড় মুখগহ্ববরের জন্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান করে নিয়েছে ১৪ বছরের আইজ্যাক জনসন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার বাসিন্দা আইজ্যাকের মুখগহ্বরের মাপ ১০.১৭৫ সেন্টিমিটার (৪ ইঞ্চি)। ইতিমধ্যেই আইজ্যাকের এই মুখগহ্বরের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড-এর পক্ষ থেকে ফেসবুকে আইজ্যাক জনসনের বিশাল মুখগহ্বরের ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছেই কত বড় মুখগহ্বরের অধিকারী সে। আইজ্যাকের এই মুখগহ্বর দেখে আশ্চর্য মানুষ। প্রচুর লাইক আর কমেন্ট আর শেয়ার হয়েছে এই ভিডিওতে।
১৪ বছর বয়সেই আইজ্যাক দাবি করেছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুখগহ্বরের অধিকারী সে। তখন তার মুখগহ্বরের পরিমাপ ছিল ৯.৩৪ সেন্টিমিটার (৩.৬৭ ইঞ্চি)। তার পর তার মুখগহ্বর আরও বড় হয়ে যায়।
২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিপ অ্যাঙ্গাস নামে এক ব্যক্তির সবচেয়ে বড় মুখগহ্বরের অধিকারী হিসেবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে নাম ওঠে। তার মুখগহ্বরের মাপ ছিল ৯.৫২ সেন্টিমিটার (৩.৭৫ ইঞ্চি)। এবার আইজাকের মুখগহ্বরের মাপ ফিলিপ অ্যাঙ্গাসকে ছাড়িয়ে গেল।
২১ জুন আইজ্যাকের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৪ মিলিয়ন ভিউ হয়। অসংখ্য মানুষ কমেন্ট করে। আর ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে আইজ্যাক জনসনের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।
আইজ্যাকের বড় মুখগহ্বর দেখে এক দাঁতের চিকিৎসক ফেস বুকে মজা করে লিখেছেন, ‘একজন চিকিৎসক হিসেবে আইজ্যাক জনসনকে আমি অনুমোদন করি। তবে তার মুখগহ্বর দেখে আমার নিজেরই চোয়ালব্যথা শুরু হয়ে গেছে।’