পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিগত প্রায় দুই বছরের অধিক সময় ধরে করোনার দাপটে জীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছিল মানুষের। পরে কিছুটা স্বস্তি মিললেও ফের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে অ্যাডিনো ভাইরাস। আর তা দিনে দিনে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে এই ভাইরাসের দাপট। সেইসঙ্গে রাজ্যে এই ভাইরাস শিশুদের ওপর তাদের আক্রমণ চালাচ্ছে। দুটি শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেই সঙ্গে আইসিইউ বেডের হাহাকার।
তবে দুটি শিশু মৃত্যুর কারণ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। শনিবার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে নয় মাসের একটি শিশুকন্যার মৃত্যু হয়। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে ওই শিশুর বাড়ি। কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিল সে। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে সে সুস্থ হয়ে উঠলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ফের জ্বর আসে শিশুটির। তাকে ফের হাসপাতালে নিয়ে আসে শিশুটির পরিবার।
এদিকে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সেই সময় ওই শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ফের তাকে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। বিসি রায় হাসপাতালে শনিবার সকালে মৃত্যু হয়। পাশাপাশি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা চলাকালীন দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে রবিবার ভোরে। তার বাড়ি কল্যানী। শিশুটি অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল কিনা সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি স্বাস্থ্য দফতর।
অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের একাংশের কথায়, দুই বছরের থেকে কম বয়সী শিশুদের মধ্যে এই ভাইরাসের থাবা বসানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে স্বস্তির বিষয়, অ্যাডিনোভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ক্ষেত্রে কোনও বিশেষ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। দূষণ এবং করোনা এই দুইটি বিষয় পরিস্থিতিতে এই ভাইরাস দাপট আরও বাড়িয়ে তুলছে। এমনকী চিকিৎসকেরা বলছেন, জ্বর কমে গেলে সুস্থ হয়ে উঠলেও অনেক সময় জীবাণু শরীরে থেকে যাচ্ছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ জ্বর হলেই হাসপাতাল ও ডাক্তারদের নিয়ে যেতে বলা হচ্ছে। করোনাবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।