মাওলানা আবদুল মান্নান: ক্রম অনুসারে আজ রহমতের শেষ রজনী হলেও সমগ্র রমযান মাসে মহান আল্লাহ্ সিয়াম পালনকারীদের তাঁর রহমতের (অনুগ্রহ) ছত্রছায়ায় বেষ্টন করে রাখেন।
হযরত আবু সাঈদ খাদুরী রা. থেকে বর্ণিত নবী করীম সা. বলেনn যখন রমযান মাসের আগমন ঘটে তখন আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং রমযানের শেষরাত পর্যন্ত তা উন্মুক্ত থাকে। (বুখারী, মুসলিম)
‘রমযান মাসে সিয়ামকারীর ওপর মুষল ধারায় আল্লাহর রহমতের বারীশ বর্ষিত হতে থাকে।
রমযান মাসের পবিত্র রাতে বান্দাহ যখন নামায পাঠ করে তখন আল্লাহ তাঁর প্রত্যেক সিজদাহর জন্য প্রতিদান স্বরূপ পনেরশ পুণ্য তাঁর আমল নামায় লিখে দেন।’ (মুসলিম)
নবী করীম সা. বলেন ‘এই রমযান মাসে প্রতি রাতে এক আহ্বানকারী (ফেরেশতা) আহ্বান করতে থাকে—হে সত্যের অন্বেষণকারী (আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী তোমরা অন্যায় করা থেকে বিরত থাকো। আল্লাহ্তাআলা রমযানের প্রতি রাতে অনেককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। (তিরমিযি)
আজকে প্রায় সাড়ে ১৪০০ বছর পূর্বে মসজিদে নববীর সুউচ্চ মিম্বার থেকে নবী করীম সা. তাঁর উম্মাতকে এই সুসংবাদ শুনিয়ে বলেন ‘হে লোক সকল! আল্লাহ মাস রহমত বরকত ও মাগফিরাত নিয়ে তোমাদের কাছে আসছে। রমযান সেই মাস যে মাসে বান্দাহ আল্লাহ সর্বাধিক নৈকট্য লাভে সমর্থ হয়।
সিয়াম পার্থিব ভয়-ভীতিকে জয় করার শিক্ষা দেয়। এরজন্য প্রয়োজন হল মহান আল্লাহ উপরপূর্ণ ‘তাওয়াককুল'(পরমনির্ভরতা)।’নিশ্চয়ই আমি তোমাদের কিছু ভয়, কিছু ক্ষুধা, জান ও মাল এবং ফলের (ফসলের) লোকসান দ্বারা পরীক্ষা করব।’ (সুরা বাকারাহ আয়াত: ১১৫)
এক কথা সত্য যে, পার্থিব জীবন কখনও মসৃণ হয় না। আমাদের চলার পথ ভয়-ভীতি ও ক্লেশে আচ্ছাদিত হলেও বান্দাহ যদি তা প্রতিপালকের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে, তাহলে বান্দাহ খুব সহজেই পার্থিব ভয়-ভীতিকে জয় করে নেয়। সেইসঙ্গে সিয়াম পালনকারী কখনও শয়তানের দ্বারা প্ররোচিত হয় না। মহান আল্লাহ্তায়ালা বলেনn কেন না শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। এই থেকে তোমরা দূরে থেকো।’ (আলকুরআন)