দেবশ্রী মজুমদার, বীরভূম: এক নাবালিকাকে স্কুল যাওয়ার পথে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে দশ বছরের সশ্রম কারাবাসের সাজা শোনাল অতিরিক্ত দায়রা স্পেশাল বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য্য। পাশাপাশি এদিন নিগৃহীত নাবালিকাকে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় সরকারের তরফে জেলা লিগ্যাল সার্ভিসকে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে পনেরো জুলাই স্কুল যাওয়ার পথে নবম শ্রেণির ছাত্রী এক নাবালিকাকে অপহরণ করেন বছর বাইশের এক যুবক। অভিযুক্তের নাম ভীম বাউড়ি বাড়ি রামপুরহাট থানার কামাক্ষা গ্রামে। সম্পর্কে অভিযুক্ত যুবক তার শ্যালিকা। ঘটনার পরের দিন নিগৃহীতার বাবা প্রদীপ বাউড়ি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৩৬৬/৩৬৩ ভারতীয় দণ্ডবিধি অপহরণের মামলা দায়ের করে। পরে ৪/৬পক্স আইন তার সাথে যুক্ত হয়। অভিযুক্ত যুবক নাবালিকা শ্যালিকাকে নিয়ে মুম্বাই চলে যায়। সেখানে প্রায় তিন মাস বেশি কিছু দিন থাকার পর পিসির বাড়ি ডামরা আসে। তারপর অভিযুক্ত যুবক ও নাবালিকা তেইশে অক্টোবর রামপুরহাট থানায় আত্মসমর্পণ করেন। জেল হেফাজতে থাকার পর ছয় শত এগারো দিন পর শুক্রবার অভিযুক্ত ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৬ ও পকশো আইনের ৬ ধারা অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত হয়। এদিন বিচারক আসামীকে ভারতীয় দণ্ড বিধির 366 ধারায় সাত বৎসর জেল ও দশ হাজার টাকা জরিমানা। অনাদায়ে আরও দুইমাস কারাবাস এবং পাশাপাশি পক্স আইনে দশ বছরের কারাবাস ও পঞ্চাশ হাজার জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাবাসের ঘোষণা করেন বিচারক। দুটি সাজা একসাথে চলবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর প্রবাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৩১/১৯ স্পেশাল কেসে আসামীকে ভারতীয় দণ্ডবিধির 366 ও 6 পক্স আইনে দোষী সাব্যস্ত করেন। এদিন তার সাজা ঘোষণা হয়।