পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে গণভোটে বিজয় দাবি করেছে রাশিয়া। অঞ্চলগুলো পরিচালনায় বিশেষ কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়েছে। অঞ্চলগুলোর ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করতে চাইলে মস্কো প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছে। ৪টি অঞ্চল হল- জাপোরিঝিয়া, দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন, পূর্বাঞ্চলের লুহানস্ক এবং দোনেৎস্ক। ইউক্রেন ও তার মিত্ররা রাশিয়ার এই গণভোটের নিন্দা জানিয়েছে। তারা গণভোটকে ‘ভুয়ো’ মন্তব্য করেছে। ইউক্রেনের বক্তব্য, এই গণভোট পশ্চিমা মিত্ররা কখনই সমর্থন করবে না। জাপোরিঝিয়ার রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৯৩.১১ শতাংশ ভোটার রাশিয়ার সাথে যুক্ত হতে চায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রাথমিক ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে। দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসনে ৮৭.০৫ শতাংশ ভোটার রাশিয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে। পূর্বাঞ্চলের লুহানস্ক অঞ্চলও রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৯৮.৪২ শতাংশেরও বেশি ভোটার ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। এছাড়া দোনেৎস্ক অঞ্চলটির কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, ৯৯.২৩ শতাংশ ভোটার রাশিয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এক ভাষণে বলেছেন, ‘গণভোটের অঞ্চলগুলোর জনগণের দায়িত্ব এখন রাশিয়ার। আমরা পুরো দেশের নাগরিকদের মতোই তাদের সুরক্ষা দেব।’ পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘আমরা অঞ্চলগুলোতে নিরাপত্তা দেব। ভোটের পর অঞ্চলগুলোতে আমূল ও বৈধ পরিবর্তন ঘটেছে। কেউ হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করলে রাশিয়া প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে।’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গণভোটকে ‘জাল’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই আমাদের রক্ষা করব। মস্কোর দখল করা এলাকা উদ্ধার করব। আর এই ভোটের ব্যাপারে কিয়েভ কখনও আপোষ করবে না। পুতিনের ব্যাপারে আমার বলার কিছু নেই।’ চলতি মাসে রুশ সেনা ইউক্রেনের পূর্বে ও দক্ষিণে ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়ে। ইউক্রেনীয় বাহিনী রুশ বাহিনীকে হটিয়ে দিয়ে কিছু এলাকা পুনরুদ্ধারও করে। এরপরই ৪ অঞ্চলে গণভোট করালেন পুতিন।