পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মঙ্গলকোটের লাকুরিয়াতে তৃণমূল নেতা অসীম দাসের হত্যাকাণ্ডের রহস্যভেদে সিট গঠন করা হল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ সদস্যের এই বিশেষ তদন্তকারী কমিটিতে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার (গ্রামীণ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস, কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কৌশিক বসাক। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ওসি এসওজি, মঙ্গলকোট থানার আইসি, খন্ডঘোষ থানা এবং জামালপুর থানার ওসি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খণ্ডঘোষ থানার ওসি প্রসেনজিৎ দত্ত এবং জামালপুর থানার ওসি মিথুন ঘোষ এই দু’জনেই একসময় মঙ্গলকোট থানার ওসির দায়িত্বে ছিলেন। তাই মঙ্গলকোট এলাকা সম্পর্কে তাঁদের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এলাকার ভৌগোলিক অবস্থানের পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধীদের সম্পর্কে তাঁদের ধারণা রয়েছে। এই অভিজ্ঞতা তদন্তে সাহায্য করতে পারে মনে করেই প্রসেনজিৎ দত্ত এবং মিথুন ঘোষকে তদন্তকারী কমিটির মধ্যে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার অসীম দাসের ময়নাতদন্তের আগে শরীরের ভিতরে গুলির অবস্থান জানতে মৃতদেহের এক্স রে করা হয়। চিকিৎসকরা জানতে পারেন, পাঁজরের হাড় ভেদ করে আটকে রয়েছে গুলিটি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি গুলি করা হয়েছিল অসীম দাসকে। তবে গুলিটি ছিল মাপে যথেষ্ট বড়। গুলির মাপ দেখে তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারণা, থ্রি নট থ্রি রাইফেল জাতীয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছিল অসীম দাসকে। এছাড়া পেশাদার হাতেই গুলি চালানো হয় বলে একপ্রকার নিশ্চিত তদন্তকারী আধিকারিকরা। ঘটনার পর পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই খুনে কে কে ছিল, কার বা কাদের নির্দেশে অসীম দাসকে খুন করা হয়েছে, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।