পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বিজেপির নির্বাচনী প্রচারে ‘বিদেশি মুখ! যা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি লিখে নালিশ জানালো তৃণমূল। শিয়রে গুজরাতে বিধানসভা ভোট। জয় পেতে মরিয়া বিজেপি। চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখছে না তারা। আর তা করতে গিয়েই বিতর্ক। বিতর্কে পদ্ম ব্রিগেড। অভিযোগ, ভোটে বাজিমাত করতে বিদেশি নাগরিকদের দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে ভোটের প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। গুজরাত বিজেপি তাদের ট্যুইটারে সেই ভিডিয়ো পোস্টও করতেই তা ভাইরাল। বিষয়টি নিয়ে সরাসরি নির্বাচন কমিশনে চিঠি লিখে আপত্তির কথা জানিয়েছে পদ্মশিবির।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের সময় তৃণমূলের প্রচার মিছিলে শামিল হতে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশের অভিনেতা ফিরদৌসকে। তা নিয়ে তখন রে-রে করে ময়দানে নেমেছিল বিজেপি। যদিও অনেকেরই বক্তব্য ছিল, ফিরদৌস টলিউডেরও অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তাই তাঁকে প্রচারে নিতে আপত্তি কেন? যদিও সেই গেরুয়া শিবির ফিরদৌসের বাংলাদেশি নাগরিকত্বর বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল।
শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ফিরদৌসকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’(ব্ল্যাক লিস্টেড) করেছিল। পাশাপাশি, বিদেশ মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছিল, ফিরদৌস ভিসা আইনকে লঙ্ঘন করেছেন কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য। তেমনটা হয়ে থাকলে ভবিষ্যতে ভারতের ভিসা পেতে সমস্যায় পড়তে হবে এই বাংলাদেশি অভিনেতাকে। এখানেই শেষ নয়। সেইসময় রীতিমতো নোটিশ পাঠিয়ে ফিরদৌসকে বাংলাদেশ ফিরে যেতে বাধ্য করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আর এবার বিজেপির অস্ত্রেই বিজেপিকে নিশানা করেছে ঘাসফুল। তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র তথা সমাজকর্মী সাকেত গোখেল বিষয়টি নিয়ে কমিশনে নালিশ ঠুঁকেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, যেভাবে বিদেশি নাগরিকরা গেরুয়া উত্তরীয় ও গেরুয়া টুপি পরে বিজেপির প্রচারে নেমেছেন তার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
গোখেলের অভিযোগ, এভাবে বিদেশিদের দিয়ে ভোটপ্রচার ভারতের ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধি আইনও ভারতের ভিসা আইনকে লঙ্ঘন করা। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ভোটের প্রচারে নেমে ওই বিদেশিরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাজের প্রশংসা করছেন। গোখলের দাবি, বিদেশিরা সম্ভবত রাশিয়ার নাগরিক। নির্বাচন কমিশনের কাছে বিজেপির গুজরাত শাখার ট্যুইটার হ্যান্ডলে প্রকাশিত সেই ছবির ‘লিঙ্ক’ পাঠিয়ে চিঠিতে গোখেল লিখেছেন, এই ঘটনা ১৯৫১ সালের ভারতীয় জনপ্রতিনিধিত্ব আইন এবং ভিসা সংক্রান্ত আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রক্রিয়ায় ‘বিদেশি নাগরিকদের এই অংশগ্রহণ’ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত করবে। কমিশনের কাছে তাঁর আর্জি, অবিলম্বে এ বিষয়ে বিদেশি নাগরিক নিবন্ধীকরণ বিষয়ক আঞ্চলিক দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হোক।