পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আইফোনের জন্য ফ্লিপকার্ট ডেলিভারি এজেন্টকে নৃশংসভাবে খুন কর্নাটকে। দেহ লোপাটের জন্য পেট্রোল ঢেলে পোড়ানো হল দেহ। কর্নাটকের হাসান জেলার এই হাড়হিম করা ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আই ফোন অর্ডার করলেও তার জন্য পর্যাপ্ত টাকা ছিল না গ্রাহকের কাছে। এলোপাথাড়ি ছুরির কোপ মেরে ফোন হাতাতেই ডেলিভারি এজেন্টকে খুন করা হয়। ২৩ বছর বয়সী ফ্লিপ কার্টের মৃত ডেলিভারি এজেন্টের নাম হেমন্ত নায়েক।
হেমন্ত দত্ত নামে এক গ্রাহক আই ফোন-১৪ ফ্লিপ কার্টে অর্ডার করেন। দাম ৪৬ হাজার। গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ হেমন্ত নায়েক ফোন ডেলিভারি দিতে আসেন গ্রাহকের বাড়ি আরাসিকেরে শহরের লক্ষ্মীপুরে। হেমন্ত নায়েক ফোন নিয়ে বাড়িতে আসলেই তাকে বাড়ির ভিতরে আসতে বলেন গ্রাহক দত্ত। ডেলিভারি এজেন্টকে গ্রাহক দত্ত বলেন, তার বন্ধুরা টাকা নিয়ে আসছেন। ফোনের সিল খোলা নিয়েও দুজনের মধ্যে বচসা হয়। এর পরে সে ঘরের ভিতরে ঢুকে যায় দত্ত। ঘর থেকে একটি ধারালো ছুরি নিয়ে এসে ডেলিভারি এজেন্ট হেমন্ত নায়েকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। একাধিকবার তার ছাতি ও ঘাড়ে কোপ মারে। ডেলিভারি বয় হেমন্ত নায়েক যখন গ্রাহকের ঘরে বসে ফেস বুক ঘাঁটছিলেন, তখনই পিছন থেকে এসে আচমকা তার উপর আক্রমণ চালায় গ্রাহক হেমন্ত দত্ত।
পুলিশ সুপার (হাসান) হরিরাম শংকর জানান, অভিযুক্ত হেমন্ত দত্ত এই খুনের কথা স্বীকার করেছেন। হেমন্ত দত্ত একটি টুবিএইচ কে আবাসনে একাই থাকতেন। খুনের পর নায়েকের দেহ একটি বড় ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে শৌচাগারে রেখে দেয়। পরে ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রমাণ লোপাটের জন্য তার বাইকে করে হেমন্তের বস্তাবন্দি দেহ শহরের বাইরে একটি রেললাইনের ধারে কেরোসিন- পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেয়। সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃতের ভাই মঞ্জুনাথ নায়েক দাদা হেমন্ত নায়েকের নামে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন গত ৮ ফেব্রুয়ারি। তার পর পুলিশ তদন্তে নামে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি পুলিশ হেমন্ত নায়েকের দেহ উদ্ধার করে। খুন হয়েছিল ৭ ফেব্রুয়ারি। দেহ পরিবারের তরফ থেকে শনাক্ত করা হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে।
মৃত হেমন্ত নায়েক মাঝপথেই সংসারের চাপে কলেজের পড়াশোনা ছেড়ে বেঙ্গালুরুতে এসে চাকরির খোঁজ শুরু করেন। এর পরে ফ্লিপ কার্ট এজেন্টের কাজ নিয়ে আরেশিকারে চলে আসেন।