সামিম আহমেদ, নামখানা: গভীর সমুদ্রে মাছ ধরে ফেরার সময় ট্রলার উলটে নিখোঁজ ১০ মৎস্যজীবী। উদ্ধার ২ জন। বাকিদের উদ্ধারের কাজে জরুরি তৎপরতা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, গভীর সমুদ্রে ইলিশ মাছ ধরে ফেরার সময় বঙ্গোপসাগরের রক্তেরশ্বরী চড়া থেকে ১৭ কিমি নিচে ডুবন্ত চড়ায় ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায় ইলিশ মাছ ভর্তি একটি মৎস্যজীবী। সেই ট্রলারে থাকা ১২ জন মৎসজীবীর মধ্যে ২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি মৎস্যজীবীরা এখনও নিখোঁজ। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশের স্পিড বোট।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চার দিন আগে নামখানার ১০ মাইলের বাসিন্দা সন্ধ্যা মান্নার এম ভি “মা হৈমবতী” নামে একটি ফিশিং ট্রলার নামখানা থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সেই ট্রলারে ছিলেন ১২ জন মৎসজীবী। তারা বকখালি থেকে ২৫ নটি মাইল দূরে গভীর সমুদ্রে পৌঁছে যায়। সেখানে তারা মাছ ধরার জন্য জাল পাতে। ইলিশ মাছ ধরার পর তারা নামখানার ঘাটে ফিরছিল। বুধবার ভোরে বঙ্গোপসাগরের রক্তেরশ্বরী চড়া থেকে ১৭ কিমি নিচে সমুদ্রের একটি ডুবো চড়ায় আটকে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে উত্তাল সমুদ্রে উল্টে যায় ইলিশ মাছ ভর্তি ট্রলারটি। তখন কেবিনের মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলেন মৎস্যজীবীরা। মাঝি-সহ ২ জনকে উদ্ধার করে পাশে থাকা ট্রলার। বাকি মৎস্যজীবীরা নিখোঁজ।
কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ভোর রাতে দুর্ঘটনাটি হওয়ায় কেবিনের ভেতরে ছিলেন মৎস্যজীবীরা। যার জন্য হয়তো বাকি ১০ জন বের হতে পারেনি।