পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। শুধু কলকাতা নয় জেলাতেও এবার ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা গত দু’বছরের তুলনায় বেশি। এদিন রাজ্য বিধানসভায় এই নিয়ে বিবৃতি দিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। যদিও এদিন তার এই বিবৃতির পেছনে ছিল শিলিগুড়ি ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ।
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি পুরনিগম এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। ৬০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্ত। মৃত্যুও হয়েছে বেশ কয়েকজনের। সম্প্রতি এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে। এই বিষয়টি এদিন বিধানসভায় ওঠে।
শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বিধানসভায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্যোগ প্রকাশ করে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ দাবি করেন, প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল রাজ্যে এসে ডেঙ্গি পরিস্থিতি অনুধাবন করুন। তার মতে, ডেঙ্গি পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিলিগুড়িতে স্বাস্থ্য দফতরের টিম যাচ্ছে। প্রয়োজন হলে আবারো যাবে বলে সদনে জানালেন মন্ত্রী চন্দ্রীমা ভট্টাচার্য।
পাশাপাশি তিনি জানান এই ডেঙ্গুর প্রভাব তিন বছর থাকে।ও প্রকোপ তিনগুণ বৃদ্ধি পায়।বিগত দুটো বছর করোনার বিশেষ পরিস্থিতিতে বোঝা না গেলেও, সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। সেই মোতাবেক ২০১৯ সাইকেলে যে পরিমাণ হয়েছিল সে তুলনায় এখনো কিছুটা কম আছে। তবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ক্লিনিং সহ সব কাজই করা হচ্ছে।
একই সঙ্গে এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এ প্রসঙ্গে তিনি বিধানসভায় বলেন, ডেঙ্গু সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরেছে। ভয়াবহ আকার নিয়েছে। এর বিরুদ্ধে মানুষকে আন্দোলনে নামতে হবে। আমাদের প্রত্যেককেই আরও সতর্ক হতে হবে। ডেঙ্গি রোধে সবার সহযোগীতা চাই। বিধায়কদের কাছে ফিরহাদের আবেদন নিজের নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষদের সচেতন করতে সচেতনতা শিবির করুন। মানুষকে বোঝান, জল জমতে দেবেন না। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এমন কি মোদি-অমিত শাহ এসে প্রচার করলেও ডেঙ্গু কমে যাবে না। এর জন্য নাগরিকের সচেতনতা দরকার। আমরা এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি। আর তাই এই নিয়ে আপনাদের সকলের সাহায্য চাইছি।