পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অগ্নিগর্ভ পঞ্চায়েত ভোট। একের পর খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত থাকল ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচন। পিটিয়ে খুন থেকে গুলি, কিছু বাকি থাকল না। মুহুর্মুহু বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে।
এখনও পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের নাম যথাক্রমে ১)মাধব বিশ্বাস কোচবিহার-বিজেপি, ২) আবদুল্লাহ (উত্তর ২৪ পরগনা-বারাসত) (আরজিকর-সূত্রে আবদুল্লাহ জীবিত), ৩) বাবর আলি (মুর্শিদাবাবাদ) -তৃণমূল, ৪) মালেক শেখ (মালদা-মানিকচক)-তৃণমূল, ৫) রাজিবুল হক-(বর্ধমান-আউশগ্রাম)-সিপিএম, ৬) আমজাদ হোসেন (নদিয়া-ছাপড়া)- (তৃণমূল), ৭) গৌতম রায় (বর্ধমান-কাটোয়া)-তৃণমূল, ৮) সাবিরুদ্দিন সেখ (মুর্শিদাবাদ-খড়গ্রাম)-তৃণমূল, ৯) ইয়াসিন সেখ (মুর্শিদাবাদ-রাজিনগর)-তৃণমূল, ১০) আনিসূল ওস্তাগার (বাসন্তী)- তৃণমূল, ১১) রওসান আলি (মুর্শিদাবাদ-লালগোলা)- বাম। চাকুলিয়ায় তৃণমূল প্রার্থী মহম্মদ শাহেনশাহকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ।
এই নিয়ে মনোনয়ন পর্ব শুরুর পর থেকে রাজ্যে পঞ্চায়েত হিংসার বলি হয়েছেন মোট ৩২ জন।
শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয় গ্রামবাংলা দখলের লড়াই। তবে নির্বাচনী এই লড়াই ঘিরে উত্তেজনা রাজ্যজুড়ে। উত্তর থেকে দক্ষিণে একাধিক হিংসাত্মক ঘটনায় গতরাত থেকে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। জানা গিয়েছে, আজ সকালে ভোট দিতে যাওয়ার সময় ১০-১১ জন তৃণমূল কর্মীর ওপর চড়াও হয় কংগ্রেস সমর্থিত দুষ্কৃতীরা।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে প্রশ্নের মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। তাঁকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু, গাড়ি থেকে নেমে কোনও জবাব দেননি রাজীব সিনহা। যদিও হাত তোলেন, কিছুটা আশ্বস্থ করার ভঙ্গিতেই। কবে কি ভোটের ‘মিডিল হাফ’-এ অন্য দৃশ্য দেখা যাবে? অশান্তির যে চিত্র চোখে আসছে, তাতে লাগাম পড়বে?