পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ‘তোমার বাবা কি করেন?’ দু’মাস আগে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তামিলনাড়ুর অশোকাপুরমের একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। জবাবে ওই ছাত্রী জানায়, তার বাবা গরুর মাংস বিক্রি করে। এতেই রাগ হয় ওই শিক্ষিকার। দু’সপ্তাহ আগে সেই রাগ মেটাতে ওই ছাত্রীকে মারধর করেন শিক্ষিকা।ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কাছে অভিযোগ করেন ছাত্রীর বাবা–মা। শিক্ষিকার এই মানসিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না জানিয়ে উল্টে তাকে সমর্থন জানান প্রধান শিক্ষিকা। বাধ্য হয়েই ওই ছাত্রীর বাবা–মা সেখানকার চিফ এডুকেশনাল অফিসারের কাছে অভিযোগ জানান।
ওই ছাত্রীর বাবা–মার অভিযোগ, হিজাব পরা বা গরুর মাংস খাওয়া মোটেই পছন্দ করেন না ওই শিক্ষিকা।ক্লাসেও তিনি গরুর মাংস খাওয়া ও ইসলাম নিয়ে কু মন্তব্য করেছিলেন।
অভিযোগ, ওই শিক্ষিকা স্কুলে হিজাব পরে আসা পছন্দ করেন না। সেই জন্যে কয়েক মাস ধরে ছুতোনাতায় অপমান করতেন মুসলিম পড়ুয়াদের।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রাজেশ্বরী সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুযলতে চাননি। অন্যদিকে চিফ এডুকেশনাল অফিসার আর বালামুরলি জানান, ছাত্রীর অভিভাবকের কাছ থেকে তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, দেশে এধরণের ঘটনা নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের এক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীর এক মুসলিম ছাত্রকে সহপাঠীদের হাতে মার খাওয়ানো হয়। এই ঘটনা নাড়া দেয় গোটা দেশকে। মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ায়।