পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : দেশের নাম ইন্ডিয়া থেকে হওয়ার ভারত হওয়ার দোরগোড়ায়। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই মুহূর্তে দেশে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এই প্রসঙ্গ।
দেশ থেকে মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে উৎখাত করতে ২৬টি বিরোধী দল তাদের শরিকি জোটের নাম রেখেছে ‘ইন্ডিয়া’। তার পর থেকেই স্বস্তিতে নেই দিল্লির কেন্দ্র সরকার। একের পর এক কটাক্ষ ধেয়ে এসেছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের দিকে। এমনকী এই জোটকে জঙ্গি দলের সঙ্গেও তুলনা করতে ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীদের দাবি, ‘ইন্ডিয়া’ ব্যানারের তলাতে জোট বাঁধাতেই মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার এই দেশে অস্থিরতার বাতাবরণ তৈরি করছে।
জি২০ নৈশভোজের আমন্ত্রণ পত্রে ইন্ডিয়ার বদলে ভারত লেখায় বিতর্ক, প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখে যে জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকে নিয়ে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে আমন্ত্রণপত্রে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। সেই কার্ডের ছবি সামনে আসতেই শুরু বিতর্ক। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্র মন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, ভারতের কথা বলা হয়েছে সংবিধানেই। সংবিধানেই ‘ভারত’ শব্দটির উল্লেখ রয়েছে। সংবিধানে লেখা, ‘ইন্ডিয়া যা হচ্ছে ভারত।’ তাই এটা সংবিধানেই রয়েছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, সংবিধানটা একটু পড়ে দেখার জন্য। বিরোধীরা আমন্ত্রণপত্রে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ লেখার পিছনে জি২০ সম্মেলনকে সামনে রেখে কেন্দ্রের ভারতকে ইংরাজিতে ইন্ডিয়ার বদলে ‘ভারত’ হিসেবে পরিবর্তনের প্রয়াস দেখছে।
এই প্রসঙ্গে জয়শংকর বলেন, ‘ এই মানসিকতা শুধু প্রধানমন্ত্রীর, বিজেপির, সরকারের এমনটা নয়। কোনও একজন মানুষ শহর থেকে এসে এমনটা করে দিল তা নয়। এই পরিবর্তনে দেশের মানুষ সঙ্গে আছে। যখন আপনি এক অর্থে ভারত বলেন, তখন তার সঙ্গে একটা মানে, একটা উপলব্ধি ও একটা সংজ্ঞা বোঝায় যা আমাদের সংবিধানেও প্রতিফলিত হয়। জয়শঙ্করের মতে, ‘ভারত’-ই হচ্ছে আমাদের মুখ্য পরিচয়। আমরা এর জন্য গর্বিত। রাষ্ট্রপতিও এই ‘ভারত’কে গুরুত্ব দিয়েছেন। ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে এটা একটা বড় পদক্ষেপ।’
জয়শঙ্কর বলেন, জি-২০ বৈঠকের মাধ্যমে মোদি সরকার দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। সকলের উচিৎ প্রধানমন্ত্রীর সেই অনুভূতির অংশীদার হওয়া। তবে এখনও যারা ১৯৮৩তেই আটকে থাকতে চাইছেন, তাদের আমি স্বাগত জানাই। কিন্তু আমি তাদের দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, দেশ এগিয়ে গেছে, আমরা ২০২৩-এ আছি’।