ব্রুম, ২২ ফেব্রুয়ারি: ধর্ষণ ও শিশুদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন বিশপ ক্রিস্টোফার স্যান্ডার্সকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগে বিচারের মুখে পড়া দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ ক্যাথলিক ধর্মযাজক তিনি। তবে এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন স্যান্ডার্স। গত বুধবার পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ব্রুম অঞ্চল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। স্যান্ডার্সের বিরুদ্ধে দু’টি ধর্ষণ, ১৪টি বেআইনি আক্রমণ এবং দায়িত্বে থাকাকালীন শিশুদের সঙ্গে অশালীন আচরণের তিনটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ৭৪ বছর বয়সী বিশপকে জামিন দেয়নি আদালত। ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত শহর ব্রুম, কুনুনুরা এবং কালুম্বুরুর আদিবাসী সম্প্রদায়ে এসব যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। পুলিশকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ান ক্যাথলিক বিশপ কনফারেন্স বলেছে, স্যান্ডার্সের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের জন্য ‘খুব গুরুতর ও গভীরভাবে পীড়াদায়ক’। পার্থ আর্চবিশপ টিমোথি কস্টেলো বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হওয়া উচিত।’ ১৯৭৬ সালে চার্চে নিয়োজিত হওয়ার পর থেকেই স্যান্ডার্সের কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় অস্ট্রেলিয়ার উত্তর–পশ্চিম প্রান্তের প্রত্যন্ত কিম্বারলি অঞ্চলে কেটেছে। ১৯৯৬ সালে তিনি ব্রুমের বিশপ নিযুক্ত হন। বিশপের এখতিয়ারভুক্ত এলাকাটি প্রায় ৭ লক্ষ ৭০ হাজার বর্গ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত, যার অধীনে দেশের বেশির ভাগ প্রত্যন্ত অঞ্চল পড়ে। সামাজিক মেলামেশা, জনকল্যাণমূলক কাজ এবং ক্যাম্পিং ও মাছ ধরার অভিযানে তরুণদের সঙ্গ দেওয়ার জন্য সুপরিচিত স্যান্ডার্স। স্থানীয়দের মধ্যে তিনি প্রভাবশালীও ছিলেন। উল্লেখ্য, পোপের নির্দেশে যৌন নির্যাতনের তদন্তের নজির খুবই কম। যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং ক্যাথলিক চার্চের বিশপ ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ২০১৯ সালে ‘ভোস এস্টিস লাক্স মুন্ডি’ নামে এক তদন্ত প্রক্রিয়া চালু করা হয়।