পুবের কলম প্রতিবেদক: ক্রমাগত পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়ছে– ফলে মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে অসন্তোষ। এ নিয়েই মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে বন্ধ থাকল কয়েক হাজার পাম্প। এর আগেও এই নিয়ে প্রতিবাদ হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় পড়তে হয়েছে এদিন।
প্রসঙ্গত– জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এ দিন রাজ্যজুড়ে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট হয়। একইসঙ্গে নানান দাবির কথা ওঠে। জানা গিয়েছে– রাজ্যের প্রায় আড়াই হাজার পেট্রোল পাম্প এই ধর্মঘটে শামিল হয়। এ দিন সকাল ছ’টা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত পেট্রোল পাম্প বন্ধ থাকার কথা থাকলেও সন্ধ্যায় তা তুলে দেওয়া হয়।
এ দিন বিকালে পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পরেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয় বলে খবর। এ দিন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মধ্যস্থতায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করে ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন। ফিরহাদ হাকিম তেল কোম্পানিগুলির সঙ্গে মধ্যস্থতা করবেন এই মর্মে ধর্মঘট তুলে নেওয়া হয়।
এ দিন সকাল থেকে শহরের পেট্রোল পাম্পগুলিতে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। পেট্রোল-ডিজেল কোনও কিছুই বিক্রি করা হয়নি। পেট্রোল পাম্প ধর্মঘটের বিষয়টি অনেকের কাছেই অজানা ছিল– তাই কর্মব্যস্ত দিনে প্রতিদিনের মতো এ দিনও পেট্রোল পাম্পগুলিতে পেট্রোল-ডিজেল নিতে ভিড় করেন গ্রাহকরা।
কমিশনের পাশাপাশি সঠিক মাপের তেল পেতে ফ্লো মিটারের দাবি জানিয়েছেন, রাজ্যের পেট্রোল পাম্প মালিকরা। বর্ষার সময়ে অনেক সময় ইথানল মেশানো পেট্রোল বিকোয়। সেই পেট্রোল কিনতে চান না পাম্পের মালিকরা। বর্ষায় তেল ট্যাঙ্কে জল ঢুকে ইথানলের সঙ্গে মিশে তেলের গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে। এই ধর্মঘটে সেই বিষয়েরও প্রতিবাদ জানানো হয়। জানা গিয়েছে– পাম্প মালিকদের কমিশন বাড়ানোর দাবিতে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের সঙ্গে একাধিকবার কথা হয়েছে। আশ্বাস মিললেও তা কার্যকর হয়নি।