পারিজাত মোল্লা: ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে তৎপর হাইকোর্ট। চলতি পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে প্রথম থেকেই সরব বিরোধীরা। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁদের সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
ইতিমধ্যেই রাজ্যে আসতে শুরু করেছে আধা সেনা। তবে শুধু পঞ্চায়েতে ভোটগ্রহণ বা গণনার দিনই নয়, ফল ঘোষণার পর অন্তত ১০ দিন বাংলায় বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখতে হবে বলে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। ভোট পরবর্তী বাংলায় হিংসার ঘটনা নতুন নয়। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোট বা ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর বিক্ষিপ্ত ভাবে রাজ্যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে।
পুরনো ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে মামলাকারীদের আইনজীবীরা এদিন হাইকোর্টে ভোটের ফল ঘোষণার পরেও অন্তত ১০ দিন থেকে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার আর্জি জানান।
এর পরিপেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জানান, অতীতে ভোট পরবর্তী হিংসার যে দৃষ্টান্ত রয়েছে, তা দেখার পর আদালতও মনে করছে ভোটের পর অন্তত ১০ দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকা উচিত।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যেন তাদের অবস্থান পঞ্চায়েতের নোডাল অফিসারকে জানান’।
উল্লেখ্য, এখানে নোডাল অফিসার বলতে বিএসএফের আইজি পদ মর্যাদার অফিসারকে বোঝানো হয়েছে, যিনি ফোর্স-কো-অর্ডিনেটরের কাজ করছেন। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, -‘ পঞ্চায়েত ভোটে প্রায় ৪৪ হাজার পোলিং স্টেশন রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর অ্যাকটিভ ফোর্স যদি ৬০ হাজারের বেশি হয়, তাহলে প্রতিটি পোলিং স্টেশনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মজুত করতে হবে। পারলে প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার ব্যবস্থা করতে হবে’। আগামী শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন।