উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর : জয়নগর মজিলপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে একটি বাড়ির দখলদারির উচ্ছেদ অভিযান হয়ে গেল মঙ্গলবার কড়া পুলিশ পাহারার মধ্যে দিয়ে।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে জয়নগর ১ নং বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস ও জয়নগর থানার এস আই পিনাকি দাসের নেতৃত্বে পুলিশের বিশাল টিমের উপস্থিতিতে বৃহস্পতি হালদার নামে জনৈক এক বয়স্কা মহিলার বাড়ির দখলদারি উচ্ছেদ করে মথুরাপুর নিবাসী মায়ারানী মিস্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হল।আর এদিন এই উচ্ছেদ অভিযানে গন্ডগোল এড়াতে প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল এলাকায়।
এদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জয়নগর মজিলপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাঁসারি পাড়া এলাকা পুরোপুরি পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ হয়ে যায়। তখন ও সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে না একসাথে এত পুলিশ কেন তাদের পাড়ায়।বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে কারণ জানতে জটলা শুরু হয়।
উৎসাহী কিছু মানুষ ভীড় করে দখলদারি বাড়ি উচ্ছেদের কিছু আগে।এর পর জয়নগর ১ নং বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস ও জয়নগর থানার এস আই পিনাকি দাস ঘটনাস্থলে আসার পরে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
যাতে এই অভিযানে কোনো গন্ডগোল না হয় সেকারনে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।এদিন দখলকারী জনৈকা বৃহস্পতি হালদার নামে এক বয়স্কা মহিলা বলেন,দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে আমি এখানে আছি। বটু মিস্ত্রী নামে এক ব্যাক্তি মাএ ১৫ টাকা মাসিক ভাড়ার বিনিময়ে আমাকে এই বাড়িতে জায়গা দেয়।তার পরে উনি মারা যাওয়ার কয়েক বছর পর থেকে ওনার পরিবারের তরফ থেকে আমাকে তুলে দিতে ক্রমাগত চাপ দেয়।আমি লোকের বাড়িতে ঠিকা কাজ করে কোনো রকমে সংসার চালাই।আমার তিন ছেলে অন্যএ থাকে। আমি এখানে একা থাকি। বার বার অনুরোধ করার পরেও আইনের মধ্যে দিয়ে আমাকে বাড়ি ছাড়া করলো। আমি এখন কোথায় থাকবো।আমাকে রাস্তায় কাটাতে হবে।আমার মতন গরীব মানুষের পাশে কেউ নেই।আমাকে সাহায্য করতে কেউ এলো না। কোনো রাজনৈতিক দলের কারুর দেখা পেলাম না। আমি কি করবো এখন।আর দখলমুক্ত করে মথুরাপুর নিবাসী মায়রানী মিস্ত্রী বলেন,দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে আইনী লড়াই করে শেষ পর্যন্ত আমি আমার স্বামীর ভিটে উদ্ধার করতে পারলাম।স্বামী তখন ভালো ভেবে অল্প টাকার বিনিময়ে থাকার জায়গা করে দিয়েছিলো।কিন্তু স্বামী মারা যাবার পর থেকে ওই মহিলা ভাড়া দেওয়া তো দূরে থাক ঘরের দখল নিয়ে নিয়েছিল।তাই আইনি পথে আমি দখল মুক্ত করলাম। এর জন্য পুলিশ প্রশাসন ও আদালতকে ধন্যবাদ জানাই।