পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ইচ্ছে থাকলে বোধহয় কোনকিছুই সাফল্যের পথে অন্তরায় হতে পারে না, সেকথাই আরও একবার প্রমাণ করলেন ত্রিপুরার এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়ে, ডাঃ নাজনীন নাহার বেগম। উল্লেখ্য যে, নয়াদিল্লিতে এইমস পরিচালিত ‘ডক্টরেট অব মেডিসিন’ (সংক্রামক রোগ)এর জন্য শীর্ষ পদ অর্জন করে নজির সৃষ্টি করলেন তিনি। পাশাপাশি ‘মেডিসিনের ডক্টরেট’ ডিগ্রি অর্জন করে প্রথম মহিলা মেডিকো হয়ে ত্রিপুরার চিকিৎসার ইতিহাসে খ্যাতি অর্জন করলেন।
জানা যায় আগরতলা শহর থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে, তিনি ত্রিপুরার উনাকোটি জেলার কৈলাশহর মহকুমার অন্তর্গত প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা আবদুল কুদ্দুস অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী এবং মা আমিরুন নাহার। কৈলাশহরের নেতাজি বিদ্যাপীঠ ইংলিশ মিডিয়াম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে তিনি মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে মেডিসিনে কোর্স করেছেন। এরপর কলকাতায় এমডি (ট্রপিকাল মেডিসিন) নিয়ে পড়াশোনা করেন।
ইতিমধ্যে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালেও প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গবেষণা পত্রগুলি। ভবিষ্যতে তরুণ প্রজন্মকেও অনুপ্রেরণা জোগাবে ডাঃ নাজনীনের এই কৃতিত্ব।