পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বিগত ৫ বছরে জার্মানিতে গার্হস্থ্য বা পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা ৩.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক সরকারি প্রতিবেদন অনুসারে, গার্হস্থ্য সহিংসতার শিকারদের বেশিরভাগই নারী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার, পরিবারমন্ত্রী লিসা পস ও হোল্গার মাঞ্চ এবং ফেডেরাল ক্রিমিনাল পুলিশ অফিসের প্রেসিডেন্ট মিলে গার্হস্থ্য সহিংসতা বিষয়ক রিপোর্টটি পেশ করেন। রিপোর্ট বলছে, ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গার্হস্থ্য সহিংসতার শিকারদের সংখ্যা ৩ শতাংশ কমলেও তা গত পাঁচ বছরে সামগ্রিকভাবে ৩.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বেশিরভাগ সহিংসতা মহিলাদের উপর সংঘটিত হলেও অপরাধীরা বেশিরভাগই পুরুষ। ২০২১ সালে আক্রান্তদের মধ্যে ৮০.৩ শতাংশই ছিল মহিলা আর ৭৮.৮ শতাংশ সন্দেহভাজন হামলাকারী ছিল পুরুষ। এই রিপোর্টের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার বলেছেন, ‘আমাদের কখনই নারীর প্রতি সহিংসতা মেনে নেওয়া উচিত নয়। পরিবর্তে, আমাদের অবশ্যই দৃঢ়তার সাথে এর মোকাবিলা করতে হবে! একটি উন্মুক্ত এবং গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতা আমাদের মূল্যবোধ ও সামাজিক ভিত্তির একটি অপরিহার্য অংশ।’ আরও বলেন, ‘যারা নারীর ওপর মানসিক বা শারীরিক নির্যাতন চালায় তারাই অপরাধী। এই অপরাধীদের কঠোর বিচার করি আমরা। কারণ তারা যা করে তা ঘৃণ্য এবং মৌলিকভাবে আমাদের মৌলিক সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী।’ শুধুমাত্র ২০২১ সালে ৩৬৯ জন হত্যা বা হত্যা প্রচেষ্টার শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ১২১ জনকে যার মধ্যে ১০৯ জন নারী ও ১২জন পুরুষ।