পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মল্লিকবাজারে ইন্সস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সের ঘটনায় রোগীর বাঁচার আশঙ্কা কম বলেই জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। তার শরীরের একাধিক স্থানে আঘাত লেগেছে। চিকিৎসকেরা তাকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা করছেন। আইটিউতে রয়েছেন ওই রোগী। জানা গেছে ৩৩ বছর বয়সী ওই রোগীর নাম সুজিত অধিকারী।
জানা গেছে ওই রোগী দক্ষিণ দাঁড়ির বাসিন্দা। বয়স ৪০ বছর। মানসিক সমস্যা থাকার জন্য তাকে কয়েকদিন আগেই এখানে ভর্তি করা হয়। শনিবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এদিন এই ঘটনার আগেই ওই রোগী হাসপাতালের ভিতরে নার্সদের সঙ্গে হাতাহাতি থেকে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। তার পরে হাসপাতালের শৌচাগারের জানলা দিয়ে বেরিয়ে কার্নিশের ওপর উঠে বসে থাকেন। তার পরেই ওপর থেকে আত্মহত্যার হুমকি দিতে থাকে সে। আর এক সময়ে হঠাৎ করেই লাফ দেওয়ার মতো করেই কার্নিশ ধরে ঝুলতে থাকেন। তার পরেই সজোরে হাসপাতালের বেসমেন্টে পড়েন তিনি।
আজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে লাফ দিয়ে রোগীর পড়া ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, যথেষ্ঠ সুরক্ষার সঙ্গেই মানসিক রোগীদের রাখা হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে রোগীর পাশে একটি জানলা ছিল সেটা খুলে সে কোনও রকম ভাবে বেরিয়েছে। তাহলে প্রশ্ন জানলা দিয়ে কি করে বের হতে পারে রোগী?
প্রশ্নের উত্তরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জানলা ভালো করে বন্ধ করাই থাকে। নাট দিয়ে খুব করেই আটকানো থাকে। তবে এখনও পর্যন্ত যত দূর জানতে পেরেছি, জানলার স্ক্রু দুটি খোলা ছিল। সেটি খুলেছে, ওই রোগী না অন্য কেউ তা জানা যায়নি। রোগী ছোটখাটো যন্ত্রপাতি কাজ করত বলেও জানা গেছে। জানলা খুলে বের হওয়া সহজ নয়। এখনও ঘর থেকে বের হয়ে কার্নিশে এসে বসার কারণ স্পষ্ট নয়।
কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছেন, ঘটনার আগে একদম স্বাভাবিক ছিল ওই রোগী। আগে দু ঘন্টা পরিবারের সঙ্গে কথাও বলে সে।
এদিন ঘটনা জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই দমকল, পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
তবে রুমে সব সময় নার্সিং স্টাফ থাকে না বলেও জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
দমকল কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা নিয়েও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।
এ নিয়ে রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, আমাদের লোকজন চেষ্টা করেছেন। শেষ পর্যন্ত কিছুই করা যায়নি। তিনি আরও জানান, মাস খানেক আগে সুুজিতের স্ত্রী ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যান।