পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যটকদের জন্য দিঘাকে সাজিয়ে তুলেছেন। এবার পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করা হচ্ছে দিঘা। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দিঘার জলের নীচে তৈরি হচ্ছে পার্ক। ইতিমধ্যে জমি চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। তারপরই শুরু হবে নির্মাণের কাজ।
নবান্ন সূত্রের খবর, দিঘার নীচের এই পার্ক হবে সিঙ্গাপুরের একটি ‘আন্ডারওয়াটার পার্ক’ বা জলের নীচে থাকা পার্কের আদলে। প্রাথমিকভাবে এই পার্ক নির্মাণের জন্য ১৪২ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রের খবর।
গোটা প্রকল্পটি রূপায়ণ করবে হিডকো। দিঘার বুকে কোথায় এই পার্ক গড়ে তোলা হবে সেই বিষয়ে অবশ্য এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে সেই পার্ক গড়ার জন্য জমি খুঁজতে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদকে চিঠি দিয়েছে হিডকো। আশা করা হচ্ছে জমি মিললেই আগামী বছর থেকেই সেই পার্ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
মূলত দিঘা-সহ বাংলার উপকূলে নীচে যে ধরনের প্রাণী ও উদ্ভিদের দেখা মেলে, যে জীববৈচিত্র্যের দেখা পাওয়া যায় সেটাই তুলে ধরা হবে ওই পার্কে। হিডকো সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, কলকাতার অ্যাকোয়াটিকায় যে ধরনের জলক্রীড়ার মজা নেওয়া যায় সেই ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থাও ওই পার্কে রাখা হবে। তবে এর জন্য পর্যটকদের টিকিট কেটে ঢুকতে হবে। যদিও তার দাম অ্যাকোয়াটিকা বা নিক্কো পার্কের মতো বেশি হবে না। ১০০ টাকার আশপাশেই টিকিটের দাম ঘোরাফেরা করবে বলে জানিয়েছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ।
ইতিমধ্যে দিঘার আকর্ষণ দিঘায় তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সেন্টার। এ ছাড়া পুরীর আদলে সেখানে জগন্নাথ মন্দির গড়ার কাজও শুরু হয়েছে।
একইসঙ্গে দিঘায় আসা পর্যটকদের জন্য তৈরি হয়েছে মেরিন ড্রাইভও নির্মাণ। এতে শঙ্করপুর, মন্দারমণি-তাজপুর থেকে সহজেই ঘুরে আসতে পারবেন পর্যটকরা। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রের খবর, আগামীতে দিঘায় রোপওয়ে নির্মাণের ভাবনাচিন্তা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই দিঘায় তৈরি হয়েছে হেলিপ্যাড।
একইসঙ্গে সেখানে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস ডিপোকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। এর ফলে দিঘার সহজেই যাতায়াত করতে পারছেন পর্যটকরা। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী নজর দিয়েছেন নিরাপত্তার দিকেও। সমুদ্রে স্নান করতে নেমে কেউ বিপদে পড়লে তার জন্য নিত্যদিন কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন নুলিয়া ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমে। যদিও এখনও মৃত্যুর ঘটনা সম্পূর্ণ ঠেকানো যায়নি। সমুদ্রের তীরে নানা রকমের বিনোদনমূলক খেলা ও রাইডের ব্যবস্থাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।