কৌশিক সালুই, বীরভূম: ডেউচা পাচামি কয়লা শিল্পাঞ্চলে এবার জমি দেওয়ার জন্য এগিয়ে এলেন স্থানীয় পাথর ও খাদান ব্যবসায়ীরা। বুধবার সিউড়িতে কয়লা শিল্পের প্রজেক্ট অফিসে পাথর শিল্পাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করেন। তাদের মধ্যে বেশ কিছু ব্যবসায়ী প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পের জন্য তাদের জমি দেওয়ায় সম্মতি প্রদান করেছেন।
এদিন ডেউচা পাচামি প্রস্তাবিত কয়লা শিল্পাঞ্চলের পাথর ব্যবসায়ীরা তাদের জমি দেওয়ার জন্য এগিয়ে এলেন। স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ীদের দুটি সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীরা সিউড়ির আব্দারপুরে ডেউচা পাচামি কয়লা প্রজেক্ট অফিসে আসেন। উপস্থিত সকলে প্রস্তাবিত শিল্পের জন্য রাজ্য সরকারকে যেকোনও ধরনের সহায়তা করার জন্য সহমত পোষণ করেন। এদের মধ্যে বেশকিছু জমির মালিক জমি দেওয়ার সম্মতি পত্রে সই করে চাকরির আবেদন করেন।
পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের পক্ষ পুনর্বাসন ও প্যাকেজ সংক্রান্ত থেকে বেশকিছু বিষয় নিয়ে উপস্থিত আধিকারিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। প্রথমত পাথর ভাঙার যে মেশিনগুলি আছে সেগুলি জন্য রাজ্য সরকার একটা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। কিন্তু কারোর বড় মেশিন বা কারোর ছোট সেক্ষেত্রে প্যাকেজের ধরন বদল করার দাবি করা হয়। কোন একটি নির্দিষ্ট জমির প্লটে একাধিক পাথর ভাঙার ইউনিট থাকলে সেক্ষেত্রে তাদের পুনর্বাসন কেমন দেওয়া হবে। এলাকার বেশ কিছু আদিবাসী মালিকানাধীন জমিতে পাথর শিল্প আছে।
যেখানে অ-আদিবাসীরা যৌথ মালিকানাধীন কারবার করছে। সেক্ষেত্রে আর্থিক পুনর্বাসন প্যাকেজ কি হবে সেটা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে। উপস্থিত পাথর ব্যবসায়ীদের সংশ্লিষ্ট দাবি-দাওয়ার বিষয়টি প্রশাসনের শীর্ষ স্তরে আলোচনা করে দ্রুত সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
পাচামি মাইনস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজির হোসেন মল্লিক বলেন, ‘পুনর্বাসন ও প্যাকেজ নিয়ে কথা বলেছি প্রশাসনের কাছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আমরা রাজ্য সরকারের পক্ষে শিল্পের জন্য আছি। প্রস্তাবিত শিল্পের স্বার্থে যেকোনও ধরনের সাহায্য আমরা করতে প্রস্তুত। আদিবাসীরা সহজ-সরল। তাদের ভুল পথে চালনা করছে বিরোধীরা।
রাজ্যের শাসক দলকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বিভিন্ন ধরনের এনজিও, বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, বিজেপি সকলে মিলে রাজনীতি করছে। আমরা সকলেই চাই কয়লা শিল্প হোক”।
অন্যদিকে কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী এদিন ডেউচা পাচামি কয়লা শিল্পাঞ্চল নিয়ে যারা বিরোধিতা করছে তাদের বারোমেসিয়ার ধর্না মঞ্চে যাওয়ার জন্য আসেন। কিন্তু স্থানীয় চাঁদা গ্রামে কিছু আদিবাসী তাদেরকে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেয়। পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির বিধায়ক ও সাংসদের দল একইভাবে আন্দোলনকারীদের কাছে যাওয়ার জন্য এলাকায় আসেন। কিন্তু তারা সেখানে না গিয়ে ডেউচার আদিবাসী পাড়াতে গিয়ে একটি বাড়িতে কিছু স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন। আগামী 8’মের পর এলাকায় জমায়েত করে উচ্ছেদ বিরোধী আন্দোলনের কথা জানান।