পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানের পেশোয়ার বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯০ জনে পৌঁছিয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে উদ্ধারকারী দল মসজিদের ধ্বংসাবশেষ থেকে আরো মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তারপরেই মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। এখনও অনেককে ধ্বংসাবশেষের নীচে আটকে আছে বলে খবর।উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। মসজিদের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলার কাজ চলছে।’ মৃতদেহগুলো রাখা হচ্ছে পেশোয়ার হাসপাতালে।
উদ্ধারকারী সংগঠন এর মুখপাত্র আহমেদ ফাইজি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) আমরা ধসে পড়া ছাদের শেষ অংশটি সরানোর চেষ্টা করব যেন আরও দেহ উদ্ধার করতে পারি। ধ্বংসস্তুপের নিচে কাউকে জীবিত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
সোমবার ওই মসজিদটিতে জোহরের নামাজ শুরু হওয়া মাত্র বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেখানে পুলিশ সদস্যরা নামাজ আদায় করতেন। মূলত পুলিশকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় নিহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ২০ জনকে মঙ্গলবার একসঙ্গে পাকিস্তানের পতাকা মোড়ানো কফিনে সমাহিত করা হয়েছে।
পেশোয়ারের যে স্থানে বোমা হামলা হয়েছে সেখানে পেশোয়ার পুলিশের সদর দফতর, গোয়েন্দা সংস্থা এবং কাউন্টার-টেরোরিজমের অফিস অবস্থিত। ওই এলাকাটি কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত হলেও হামলার দিন হামলাকারী সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করে এবং আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়।
এ হামলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘যারা পাকিস্তানের সুরক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে সন্ত্রাসীরা দেশ জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে।’ ‘হামলাকারীদের সঙ্গে ইসলাম ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।