পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পুলিশি জেরা চলাকালীন এক মুসলিম যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলায়। সোমবার ভোপালে ইজতেমা (ধর্মীয় জামাতে) যোগদানের পরে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশ তাকে আটক করে।
মৃত যুবকের নাম ইজরায়েল খান। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ তাকে মারধর করেছে, সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে ইজরায়েলের। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, জেরা চলাকালীন ইজরায়েল জানায় তার মাথাযন্ত্রণা করছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানান।
সূত্রের খবর, ৩০ বছর বয়সী ইজরায়েল খান যখন একটি অটোতে করে গোকুল সিং এলাকায় তার বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন তখন কুশমোদা পুলিশ চৌকিতে তাকে আটক করা হয়। তদন্তকারী আধিকারিকরা ইজরায়েল খানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তার কাছ থেকে কিছু তথ্য চায়। জেরা চলাকালীন ইজরায়েল অচৈতন্য হয়ে পড়লে, তাকে স্থানীয় জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চিকিৎসকেরা জানান, মৃত্যু হয়েছে ইজরায়েলের। মৃতের পরিবার সহ স্থানীয় মানুষ এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায়। দোষী পুলিশ আধিকারিকদের শাস্তির দাবি জানিয়ে দেহ রাস্তায় নিয়ে বসে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তারা। পরে এই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ক্যান্ট থানায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে মৃত ইজরায়েলের বাবা মুনাওয়ার খান জানিয়েছেন, তাদের বাড়ির ছেলেকে জেরা করার সময় মারধর করা হয়। এই কারণেই মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, আমাদের কারুর কোনও অপরাধমূলক রেকর্ড নেই। আমাদের ছেলে ইজরায়েলেরও ছিল না।
আমার জামাইয়ের কোনও ক্রিমিন্যাল রেকর্ড নেই। মুনাওয়ার খান আরও জানান, পুলিশকর্মীরা তাদের কাছে ১ লক্ষ টাকা চেয়েছিল, কিন্তু আমরা মাত্র ৩০ হাজার দিতে পেরেছি। আমরা পরে ৭০ হাজারের ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু তার আগেই ইজরায়েলকে খুন করা হয়েছে।এদিকে পুলিশ জেরার সময় ইজরায়েলকে মারধর করার কথা অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানায়, জেরার সময় মাথা যন্ত্রণা শুরু হয় ইজরায়েলের। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানেই মৃত্যু হয়েছে।