পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : টিকাকরণের পথে আরও এক ধাপ এগোল ভারত। নেজাল ভ্যাকসিনের বুস্টারের ট্রায়ালে সায় দিল ড্রাগ কনট্রোলার্স জেনারেল অব ইন্ডিয়া বা ডিসিজিআই (DCGI)। তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য ছাড়পত্র পেল কোভ্যাক্সিন টিকা প্রস্তুতকারক ভারতীয় সংস্থা ভারত বায়োটেক। নাকের মাধ্যমে নেওয়া যাবে বুস্টার টিকা। তবে কোভ্যাক্সিনের দু’টি টিকা গ্রহণ করা ব্যক্তিদের উপরই করা যাবে এই তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা।
এখনও অবধি সংক্রমণ ঠেকাতে যে টিকাকরণ হচ্ছে তার সবটাই ইনজেকশন মারফৎ শরীরে যাচ্ছে। নিঃসন্দেহে নাজাল ভ্যাকসিন যদি ব্যবহারের ছাড় পায় তা হলে তা একটা মাইলস্টোন তৈরি করবে টিকাকরণের ক্ষেত্রে। ওয়াশিনটন ইউনিভার্সিটি এই নাজাল ভ্যাকসিন তৈরি করেছিল, তার পর ভারত বায়োটেক উৎপাদনের দায়িত্বে রয়েছে। এই ভ্যাকসিন সংক্রমণ ঠেকাতে পারে বলেও প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে। তবে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ট্রায়াল পর্ব চলবে।
পরীক্ষা সফল হলে দেশ জুড়ে বুস্টার টিকা দেওয়া আরও সহজ হবে বলেও জানানো হয়েছে। ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে যে, কোভিডের প্রধান সংক্রমণের জায়গা নাক, যে হেতু নাক দিয়েই এই ভাইরাস মূলত শরীরে প্রবেশ করে। এই নাকের টিকা নাকে প্রতিরোধ শক্তিকে উদ্দীপ্ত করে এবং কোভিডের সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করবে।
এই টিকা খুব সহজে নিজে থেকেই নাকের মাধ্যমে নেওয়া যেতে পারে। তাই আলাদা করে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের প্রয়োজন হবে না বলেও সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।এখনও অবধি যা জানা গিয়েছে, দেশের ৯টি কেন্দ্রে এই ট্রায়াল চলবে। ৯০০ থেকে ১০০০ জনের উপরে এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হতে পারে। এই ট্রায়াল হওয়ার পর যে তথ্য বা রিপোর্ট আসবে, তা খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত প্রয়োগের দেওয়া হতে পারে এই নাজাল বুস্টার ডোজকে। এর জন্য কিছুটা সময় লাগবে ঠিকই। তবে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগের ছাড়পত্র আসার পরই নতুন করে আশার আলো দেখছেন দেশবাসী।