পারিজাত মোল্লাঃ সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস এক প্রাথমিক শিক্ষকের বদলী সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে। ডিএ দাবিতে আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় শিক্ষককে বদলির অভিযোগ। এই মামলায় রাজ্য এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে রিপোর্ট চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সোমবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্যে আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন— কোন আইনে এই বদলি? বনধে সামিল হলে কর্মজীবনে ছেদ পড়বে, এই বিজ্ঞপ্তি কি করে দেয়? হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়লো রাজ্য সরকার। শিক্ষককে বদলির নোটিশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত।
ডিএ আন্দোলনের যোগদানকারী শিক্ষকের বদলির নির্দেশের উপর সোমবার স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন বিচারপতি এজলাসে জানান, মহার্ঘ ভাতা দিয়ে দিন না, তাহলেই তো আর ঝামেলা হয় না। মামলাকারীর নাম অমিত কুমার ঘোষ হাওড়ার ডোমজুড়ের মহিষনালা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক তিনি। সম্প্রতি অমিতকে বদলি করে দেওয়া হয় আমতার পশ্চিম নওপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কিন্তু কেন? ওই শিক্ষকের দাবি, গত ১০ ই মার্চ বকেয়া ডিএ-র দাবিতে বনধে সামিল হন তিনি। এরপর ১৪ ই এপ্রিল শোকজ ও ২৫ এপ্রিল বদলির নোটিশ পাঠানো হয়। এরপরই মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। শুধু বদলির নোটিশ অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ নয়, শুনানিতে বিচারপতি বলেন, ‘শোকজ নোটিশ আর বদলির নোটিশ একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৬ জুন। ডিএ আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় এক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে বলে রাজ্যে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ তুলেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক।
সেই মামলায় শিক্ষকের বদলিতে স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, কোন আইনে এই বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেটাও এদিন তিনি রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চান। পাশাপাশি রাজ্য এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।