পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মহিলাদের সঙ্গে হওয়া অপরাধের মামলাগুলিতে আদালতকে আরও সংবেদনশীল হতে হবে, একটি খুনের ঘটনায় মামলার পর্যবেক্ষণে পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের। শীর্ষ আদালত বলেছে, এটি প্রত্যাশিত যে আদালত তদন্ত বা সাক্ষ্যের ছোটখাটো ত্রুটির কারণে অপরাধীদের পালাতে দেবে না। আদালত আশা রাখে, তদন্ত সঠিক পথে চালোনার জন্য একজন আইনজীবীও যথাযোগ্য তথ্য জোগাড় করবেন। কারণ ভুক্তভোগীরা অপরাধের শাস্তি না হওয়ায় ভেঙে পড়বের।
আদালত সূত্রে খবর, ৬ অক্টোবর স্বামী ও তাঁর মা মিলে স্ত্রীকে বিষ প্রয়োগে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় এই মত প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট।
শুক্রবার দেওয়া রায়ে বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং প্রশান্ত কুমার মিশ্রের একটি বেঞ্চ বলেছেন, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে আদালতগুলিকে আরও সংবেদনশীল হবে। উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের ২০১৪’র মার্চের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে দুই আবেদনকারীর দায়ের করা আবেদনের উপর এই রায় দেয় শীর্ষ আদালত। ২০০৭ সালে দায়ের করা মামলায় নিহতের স্বামী ও শাশুড়িকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল নিম্ন আদালত। সেই রায়ে আদলত অভিযুক্ত শাশুড়িকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেয়। হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের নির্দেশ বহাল রাখে।
১৯৯৭ সালে বলবীর সিং বিয়ে করেন। ২০০৭-এর জুনে বিচারবিভাগীয় আদালতে মৃতার বাবা মেয়ের সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয়েছে বলে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বলবীর সিং ও তার মাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলা চলাকালীন দুজনে দাবি করেন, তারা নির্দোষ তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান দুজনেই। পরে মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। বেঞ্চ জানায়, আবেদনকারীর দাবি ছিল মৃতা আত্মহত্যা করেছে। কিন্ত আদালত সেই রায় খারিজ করে দেয়। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, বলবীর সিংকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০২ (খুন) এবং ৪৯৮- এ (একজন বিবাহিত মহিলার সঙ্গে নিষ্ঠুরতা) এর অধীনে অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। মৃতার শাশুড়ি ৪৯৮ ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত।