পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা টেট-এ দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। তা নিয়ে অবশ্য সিবিআই তদন্তের রায় দেয় কলকাতা উচ্চ আদালত। এবার সেই মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রবিবার নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয় মমলাকারী সৌমেন নন্দীকে। সূত্রের খবর, তাঁর বয়ান রেকর্ড করতেই এ দিন তাঁকে সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে। সেই তলবের প্রেক্ষিতে মামলাকারী তাঁর আইনজীবী ফিরদৌস শামিমকে সঙ্গে নিয়ে রবিবার সিবিআই দফতরে হাজির হন। তিনি বেশকিছু নথিপত্র নিয়ে এ দিন সিবিআই দফতরে আসেন।
সৌমেন নন্দীর আইনজীবী ফিরদৌসের দাবি, পাপিয়া মুখোপাধ্যায় নামে ওই মহিলা রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের মাধ্যমেই চাকরি পেয়েছেন। প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ভাইরাল ভিডিয়োতে এই চন্দন মণ্ডলের নাম রয়েছে। যে কি না টাকার বিনিময়ে বহু চাকরিপ্রার্থীকে চাকরি দিয়েছিলেন। তিনি নাকি খুব সৎ মানুষ, টাকা নিলে চাকরি দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রাইমারিতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট-এর পরীক্ষা হয়েছিল। সেই বছর টেট-এ বসেছিলেন চাকরিপ্রার্থী সৌমেন নন্দী। কিন্তু পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হন। তাঁর মতো অনেক চাকরিপ্রার্থীই অকৃতকার্য হন। কিন্তু সৌমেন জানতে পারেন অকৃতকার্য হওয়া চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ৬৮জন চাকরি পেয়েছেন। তারমধ্যে পাপিয়া মুখোপাধ্যায় নামে একজন রয়েছেন। তিনি আরটিআই করেন। ৬৮ জনের তথ্য জানতে চান সৌমেন। ১৮ জনের কথা জানতে পারেন পারলেও, সৌমেন নন্দী বাকিদের তথ্য পাননি ।
সৌমেন অভিযোগ করেন, টেটে ফেল করেও চাকরি পেয়েছেন। এ নিয়ে তিনি তালিকাও আদালতের কাছে জমা করেন। অভিযোগ, তথ্য জানতে চেয়ে আরটিআই করলেও কোনও জবাব মেলেনি। প্রাইমারি শিক্ষা বোর্ডের তরফে কোনো তথ্য জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। তারপর তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমানে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।তদন্তের কাজে বিস্তারিত তথ্য জানতেই মামলাকারী সৌমেন নন্দীকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সিবিআই।