বিশেষ প্রতিবেদন: আকাশ থেকে হিরার বৃষ্টি নামে ইউরেনাস ও নেপচুনে! এমনটাই দাবি একদল বিজ্ঞানীর। আমাদের সৌরমণ্ডলের একেবারে শেষদিকের দুই গ্রহ ইউরেনাস ও নেপচুন একেবারেই হিমশীতল। সৌরজগতের সপ্তম গ্রহ ইউরেনাস একটি বরফপিণ্ড। আর নেপচুনকে তো ‘আইস প্ল্যানেট’।
বরফ ও গ্যাসের পিণ্ড ইউরেনাসের সঙ্গে নেপচুনের অনেক মিল। এই দুই রহস্যময় গ্রহ নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে সায়েন্স ম্যাগাজিন ‘নেচার অ্যাস্ট্রনমি’। সেখানে মার্কিন বিজ্ঞানীরা লিখেছেন, দুই গ্রহ ইউরেনাস ও নেপচুনে হিরার বৃষ্টি হয়। মুঠো মুঠো হিরা ঝরে পড়ে দুই গ্রহে। কিন্তু এমনটা ঘটছে কেন?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, হাইড্রজেন আর কার্বনের কোনও অভাব নেই ওই দুই গ্রহে। এই দুই হল হিরে তৈরির কাঁচামাল। কার্বনের একটি মৌল আবার গ্রাফাইট। ইউরেনাস ও নেপচুনে ভয়ঙ্কর ঝড়-বজ্রপাত হয়। ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকায়। ওই বজ্রবিদ্যুৎ আর ঝড়ের তাণ্ডবেই গ্রাফাইট তৈরি হয়।
সেই গ্রাফাইট যত গ্যাসের চাদর ফুঁড়ে নিচে নামতে থাকে, সেই চাদরের গভীরে ঢুকতে থাকে, ততই তা একটু একটু করে কঠিন হিরা হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীদের দাবি, সেগুলো পৃথিবীর প্রাকৃতিক হিরার চেয়ে অনেক বেশিগুণে উজ্জ্বল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, গোটা পৃথিবী খুঁজলেও এত হিরে পাওয়া যাবে না পৃথিবীতে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি কোনওদিন ইউরেনাস ও নেপচুনে মানুষের পা পড়ে, তাহলে মাইনিং-এর মাধ্যমে দুই গ্রহের মাটি ফুঁড়ে কোটি কোটি হিরে উদ্ধার করা যাবে।