পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে আসন সমঝোতা শুরু হয়েছে। আলোচনার শুরুতেই ধাক্কা খেল শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী)। লোকসভার জন্য কংগ্রেসের কাছে তারা দাবি করেছিল, ২৩ টি আসন। কিন্তু সেই দাবি মানা সম্ভব নয়, জানিয়ে দিল কংগ্রেস।
কংগ্রেসের যুক্তি, পুরনো শিবসেনার কথা আলাদা ছিল। কিন্তু ২০২২ সালের জুনে বিদ্রোহ করে একনাথ শিন্ডে সহ ৪০ বিধায়ক শিবসেনা থেকে আলাদা হয়ে গিয়ে দলের প্রতীক, নাম দখল করে বিজেপির শরণাপন্ন হওয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টেছে। ২৩ আসনে উদ্ধব আদৌ প্রার্থী দিতে পারবেন না। কারণ বেশিরভাগ দাপুটে নেতারা একনাথের পাশে দাঁড়িয়ে। কংগ্রেস একই বার্তা দিয়েছে শরদ পাওয়ারের এনসিপিকেও। কারণ ভাইপো অজিত পাওয়ারও এনসিপিতে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপির হাত ধরেছে। ফলে দেখতে গেলে উদ্ধব ঠাকরে ও শরদ পাওয়ার দুজনের দলেরই পাওয়ার কমে এসেছে মহারাষ্ট্রে। কংগ্রেসের দাবি, মহারাষ্ট্রে বিজেপির প্রকৃত বিরোধী দল হল কংগ্রেস।
ইন্ডিয়া জোটের আসন রফায় এটা প্রথম ধাক্কা বলা চলে। শিবসেনাকে (উদ্ধব গোষ্ঠী) ২৩ আসন দেওয়া যাবে না, এই সিদ্ধান্ত অবশ্য কংগ্রেসের একার নয়। এই প্রসঙ্গে এনসিপির ও (শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী) একই বক্তব্য।
কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তে আহত শিবসেনা। এবার তারা ইন্ডিয়া জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলে কি না তাই এখন দেখার। এমনটা হলে ক্ষতি হবে ইন্ডিয়া জোটের। কারণ উদ্ধব নেতৃত্বাধীন শিবসেনা আলাদা করে প্রার্থী দিলে ভোট কাটবে কংগ্রসেরই। আর তাতে গোটা মাহারাষ্ট্রে লাভবান হবে বিজেপি।