পারিজাত মোল্লা: চলতি পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একাধারে রাজনৈতিক লড়াই অপরদিকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে বড়সড় আইনিয়া জয় পেলেন অধীরবাবু। টানা ২৪ ঘণ্টা মত মুর্শিদাবাদের বড়ঞা বিডিও অফিসের সামনে অবস্থান করছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও সাংসদ অধীর চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, বিডিও অফিসে ফর্ম বি জমা দিতে দেওয়া হয়নি কংগ্রেস প্রার্থীদের। অবস্থানের পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অধীর। সেই মামলায় বুধবার বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, বড়ঞার কংগ্রেস প্রার্থীদের বৃহস্পতিবার সিআরপিএফ নিরাপত্তা বলয় দিয়ে বিডিও অফিসে পৌঁছে দিতে হবে। যদি সিআরপিএফ নিরাপত্তা না দেওয়া যায় সেক্ষেত্রে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপারকে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করে বিডিও অফিসে পৌঁছে দিতে হবে’। জাতীয় কংগ্রেসের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার মনোনয়ন পর্বের শেষ দিনে বড়ঞা বিডিও অফিসে যে কংগ্রেস প্রার্থীরা বি ফর্ম জমা দিতে গিয়েছিলেন, তাঁদের বাধা দেয় তৃণমূল। বি ফর্ম হল দলের প্রতীক পাওয়ার নথি। অর্থাত্ কোনও প্রার্থীকে কোনও দল তাদের প্রতীক দেওয়ার জন্য মনোনীত করছে’। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, শেষ দিন কংগ্রেসের লোকজনকে আটকে দেয় তৃণমূল’।
বিডিও অফিসের ভিতরে শাসকদল জমায়েত করে রেখেছিল বলেও দাবি তাঁর। এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তি নিয়ে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে কার্যত তুলোধোনা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন পর্যবেক্ষণে জানান,’ একটা পঞ্চায়েত ভোটে যদি এত রক্তপাত, হিংসা হয় তাহলে তা বন্ধ করে দেওয়া উচিত’।রাজ্যের তরফে বলা হয়, অতীতে ১৯৯৮, ২০০৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটেও রাজ্যে হিংসা হয়েছিল। এবার মাত্র আটটি ব্লকে অশান্তি হয়েছে। বাকি পরিস্থিতি শান্তই ছিল’। রাজ্যের এই যুক্তি শুনে বিচারপতি এজলাসে বলেন, -‘কবে কী হয়েছিল সেসব এখন টানবেন না’। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের দিকে নজর রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের।