পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শ্রীনগরে প্রবল তুষারপাতের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হল কংগ্রেসের মেগা ইভেন্ট ১৩৫ দিন ধরে চলা ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা। সমাপ্তির দিনে প্রায় ২১টি বিরোধী দলকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে দলগুলি সেই আহ্বান এড়িয়ে গেল। এর মধ্যে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদীপার্টি, তেলেগু দেশম। উপস্থিত ছিল ১২টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এম কে স্টালিনের নেতৃত্বাধীন (ডিএমকে), শরদ পাওয়ারের জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি), তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), নীতীশ কুমারের জনতা দল (ইউনাইটেড), উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা, সিপিআই। (এম), সিপিআই, বিদুথালাই চিরুথাইগাল কাচি (ভিসিকে), কেরালা কংগ্রেস, ফারুক আবদুল্লাহর নেতৃত্বাধীন জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স, মেহবুবা মুফতির জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি), এবং শিবু সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)।
কন্যাকুমারী থেকে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর এই যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা শেষ হল ৩০ জানুয়ারি শ্রীনগরে। ১৩৫ দিনের এই যাত্রায় ১২টি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ৩,৯৭০ কিলোমিটার পদযাত্রা সম্পন্ন করল কংগ্রেস। সোমবার সমাপ্তি অনুষ্ঠানকে সফল ধরে নিয়ে খুশিতে মেতে ওঠেন রাহুল, প্রিয়াঙ্কা থেকে কংগ্রেসের দলীয় কর্মীরা। রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাকে একে অপরে সঙ্গে বরফ ছোড়াছুড়ি করে খেলতে দেখা যায়।
রবিবার রাহুল গান্ধি একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, ভারত জোড়ো যাত্রা দক্ষিণ থেকে উত্তরে পদযাত্রা সম্পন্ন করল। এই যাত্রা দেশব্যাপী প্রভাব ফেলেছে ও দেশবাসীকে একটি বিকল্প দৃষ্টি দিতে সক্ষম হয়েছে। প্রসঙ্গত, রবিবার লাল চক এলাকায় রাহুল গান্ধির জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সঙ্গে সঙ্গে ‘পদযাত্রা’ শেষ হয়, তবে আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি সোমবার শ্রীনগরে হবে বলেই জানানো হয়েছিল। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর যাত্রার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি উপলক্ষে শের-ই-কাশ্মীর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মেগা সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শ্রীনগরে কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে। শৈত্যপ্রবাহকে উপেক্ষা করেই উপস্থিত হন ছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা, পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। যাত্রাচলাকালীন ১০০টি বেশি একজায়গায় সভা, ১৩টি সাংবাদিক বৈঠক, প্রায় ১০০ বার মানুষের সঙ্গে বসে কথা বলেন রাহুল।
উল্লেখ্য, তুষারপাতে মুখ ঢেকেছে গোটা উপত্যকা। শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বিমান চলাচলেও প্রভাব পড়েছে। শ্রীনগর বিমানবন্দরের ডিরেক্টর কুলদীপ সিং জানিয়েছেন, দৃশ্যমানতা কম ও সেইসঙ্গে অবিরাম তুষারপাতের কারণে বহু বিমান দেরিতে চলছে। ভিস্তারা এয়ারলাইন্স তাদের দিল্লি থেকে শ্রীনগরের দুটি বিমান বাতিল করেছে।