বিশেষ প্রতিবেদন: ২০২৩ সালে একের পর এক বন্দুক হামলায় বিপর্যস্ত হয়েছে আমেরিকা। ২০২৩ সালে ৬৫০ এরও বেশি বন্দুক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে। ডিসেম্বর পর্যন্ত গুলির ঘটনায় প্রাণ গেছে প্রায় ৪৩ হাজার মানুষের। গবেষণা বলছে, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন জোরদার করা হলেও কিছু রাজ্যে বন্দুক বহনের বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার কারণেই ঘটছে এমন সহিংসতা। এখন আর বন্দুকধারীর গুলিতে মানুষ হত্যার খবর শুনে চমকে ওঠে না মার্কিনিরা। কারণ বন্দুক হামলার ঘটনা অনেকটা তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। ঘরে-বাইরে, উপাসনালয়ে, স্কুলে, নাইটক্লাবে কিংবা বড় কোনও উৎসবে একের পর এক বন্দুক হামলা মার্কিনিদের কাছে স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
২০২৩ সালে নিউইয়র্কে ১৭২টি, ইন্ডিয়ায় ১২২টি, মিসিসিপিতে ১১৫টি ও টেক্সাসে ৬১টি বন্দুক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসকল হামলায় প্রাণ গেছে প্রায় ৪৩ হাজার মানুষের। যাদের মধ্যে শিশু-কিশোরের সংখ্যা ছিল ১,৬৭২ জন। হামলায় প্রাণহানি ছাড়াও বন্দুক চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। আমেরিকার নর্থ ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেমস অ্যালান ফক্সের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সারা বিশ্বের তুলনায় আমেরিকায় ৪গুণ বেশি বন্দুক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে জড়িতরা বেশিরভাগই উগ্র স্বভাবের।
গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, কিছু অঙ্গরাজ্যে কোনও বিধিনিষেধ ছাড়াই গোপনে বন্দুক বহনের অনুমতি দেওয়ায় সহিংসতার মাত্রা ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সমীক্ষা অনুযায়ী, আমেরিকায় যারা একা থাকেন তারাই বন্দুক রাখেন বেশি। দেশটিতে অর্ধেকেরও বেশি হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে হামলাকারী একাধিক অস্ত্রের মালিক। সাংবিধানিকভাবে দেশটিতে বন্দুকের ব্যক্তিগত মালিকানার সুযোগ থাকায় বন্দুক হামলার হার বেড়েই চলেছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।