পুবের কলম প্রতিবেদক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এক মাস দেশব্যাপী বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কলকাতা পুরসভার তরফে সেইমতো শুরু হয় প্রচারও। কিন্তু তারপরেও দেখা গিয়েছে বুস্টার থেকে মুখ ফিরিয়ে থেকেছেন নাগরিকরা। শহরবাসীর এই অনীহা কার্যত চিন্তায় ফেলেছে কলকাতা পুরসভাকে। বর্তমানের এই উদাসীনতায় আগামিদিনে কড়া মূল্য চোকাতে হবে বলেও মনে করছে চিকিৎসক মহল।
টিকা আবিষ্কার হওয়ার পরে গত দু’বছরে করোনা সংক্রমণের হার অনেকটাই কমে। বর্তমনে মৃত্যু হারও প্রায় শূন্য। যারা যারা বুস্টার নিয়েছেন, তাঁদের কেউই প্রায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হননি।
সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার কাছে এমনই রিপোর্ট হাতে এসেছে বলে জানিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু তারপরেও দেখা গিয়েছে, সময় হয়ে যাওয়ার পরেও শহরের অধিকাংশ মানুষ বুস্টার নেননি।
বর্তমানে শহরের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষের প্রথম ডোজ সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজও নিয়েছেন ৬০ শতাংশের ওপরে। কিন্তু সেই জায়গায় নাগরিক সমাজে বুস্টার ডোজ নিতে দেখা গিয়েছে অনীহা। ২২ জুন পর্যন্ত কলকাতায় বুস্টার ডোজ নিয়েছিলেন ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৮৪৪ জন। তার মধ্যে ৬০ বছর বয়সি বা তার ঊর্ধ্বে টিকা নিয়েছিলেন ২ লাখ ৮৫ হাজার ৯৪ জন। এছাড়া চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে বুস্টার ডোজ নিয়েছিলেন ৫৩ হাজার ৫৬ জন। তা বাদেও প্রথম সারির করোনা-যোদ্ধাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ নিয়েছিলেন ৬৫ হাজার ৬৯৪ জন।
পুরসভা সূত্রে খবর, বর্তমানে শহরের মোট ১১ লক্ষ নাগরিকের বুস্টার ডোজ সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে হিসেবে অনুযায়ী, শহরের জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশ মানুষ ১৮ ঊর্দ্ধ। এর থেকেই স্পষ্ট শহরের অধিকাংশ মানুষ বুস্টার ডোজ নেননি। করোনার ভয়াবহতা ভুলে গিয়ে নাগরিকদের এই বেপরোয়া মনোভাবকে ভালো চোখে দেখছেন না চিকিৎসকরা।