পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ চিনে গাধার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ ধরনের ওষুধ তৈরির জন্য প্রতি বছর দেশটিতে অন্তত ৪০ লক্ষ গাধা দরকার হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে চিনে গাধার সংখ্যা ব্যাপক হারে কমে গেছে। এ অবস্থায় পাকিস্তানের দ্বারস্থ হয়েছে দেশটি। পাকিস্তানও গাধা নিয়ে চিনের পাশে দাঁড়াচ্ছে। বর্তমানে চিনে প্রতি বছর গাধার যে চাহিদা, তার মাত্র অর্ধেক পালন করা হয়। তাই চাহিদা মেটাতে অন্য দেশ থেকে গাধা আমদানি করতে হচ্ছে বেজিংকে। এর আগে নাইজার ও বুরকিনা ফাসো থেকে পশুটি আমদানি করত চিন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে গাধা কিনতে পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকেছে দেশটি।
পাকিস্তানও চায়, গাধা রফতানি করে বেজিংয়ের সঙ্গে বন্ধুত্বের বন্ধন দৃঢ় করতে। চিনে গাধার উৎপাদন ১৯৯২ সাল থেকে প্রায় ৭৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এতে গাধা আমদানিতে বেশি জোর দিতে বাধ্য হচ্ছে চিন। পাকিস্তানও গাধা রফতানির জন্য দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ওকারায় গাধা পালনের জন্য অত্যাধুনিক খামার স্থাপন করেছে। যেখানে চিনের বড় ধরনের বিনিয়োগ রয়েছে। জানা যায়, গাধার চামড়া ব্যবহার করে রক্তের গুণ বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ওষুধ প্রস্তুত করা হয়। এ কারণেই চিনে গাধার চামড়ার ব্যাপক চাহিদা। গাধা পালনে চিন বিশ্বে প্রথম স্থানে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে পশুটির সংখ্যা অনেক কমে গেছে। পাকিস্তান ২০১৫ সালে গাধার রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে পরবর্তীতে তা প্রত্যাহার করা হয়।