পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ভারতের সঙ্গে চিনের সীমান্ত সংঘাত কোন নুতন ঘটনা নয়। এবার অরুণাচল প্রদেশে সীমান্তের কাছেই নিজেদের ভূখণ্ডে দ্রুত পরিকাঠামো তৈরি করছে জিনপিং সরকার। সড়কের পর এবার তাদের নজর রেলপথে।
শীঘ্রই এবার ভারতের উত্তর-পূর্বের এই অঙ্গরাজ্যের গা ঘেঁষেই তিব্বতের লাসায় ছুটবে বুলেট ট্রেন। শুক্রবার তারই প্রথম ধাপ হিসেবে তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে নিংচির মধ্যে চলল প্রথম বৈদ্যুতিন বুলেট ট্রেনটি।
চিনের দাবি এই বুলেট ট্রেনের পরিকল্পনা তাদের দীর্ঘদিনের। ২০১৪ সাল থেকে কাজ শুরু হয়। জানা যাচ্ছে ১ জুলাই থেকে এই পরিষেবা শুরু করবে চিন।শুরু হয়েছে ট্রায়াল রান। দিনটিকে বেছে নেওয়ার কারণ এদিন চিনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির একশো বছর পূর্তি।
তার আগেই সেদেশের সিচুয়ান-তিব্বত রেলওয়ে চালু করে দিল লাসা-নিংচি ৪৩৫.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথ। এদিন সকালেই প্রথম বুলেট ট্রেনটি চালানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, সিচুয়ান-তিব্বত রেলওয়ে এই অঞ্চলের দ্বিতীয় রেলওয়ে। এর আগে এই এলাকায় কুইনঘাই-তিব্বত রেলওয়ে চালু করেছিল বেজিং। গত বছর নভেম্বরেই এই সিচুয়ান-তিব্বত রেলওয়ের উদ্বোধন করেছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
পুরো বিষয়টির ওপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারত। গালওয়ান সংঘাতের ক্ষত এখনও টাটকা। অরুণাচল নিয়ে চিনের আগ্রাসী মনোভাব বরাবরই প্রচ্ছন্ন। তাই অরুণাচল প্রদেশের গা ঘেঁষে এই চৈনিক রেলপথ যে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন করে প্রভাব ফেলবে এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহল।
সিচুয়ানের রাজধানী চেঙ্গদু থেকে এই ট্রেনের যাত্রাপথ শুরু হবে। শেষ হবে লাসায়। তবে বুলেট ট্রেনের কারণে ৪৮ ঘণ্টার যাত্রাপথ কমে দাঁড়াবে মাত্র ১৩ ঘণ্টায়।