পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: নিজের উত্তরসূরি হিসেবে মঙ্গলবার বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নাম প্রস্তাব করলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের জমায়েতে তাঁর নাম পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে প্রস্তাব করে চিঠি হাতে ধরালেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে প্রধান বিচারপতি।
সরকার প্রধান বিচারপতির প্রস্তাবকে অনুমোদন দিলে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় হতে চলেছেন দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি। তিনি হবেন সুপ্রিম কোর্টের পঞ্চাশতম প্রধান বিচারপতি।
বর্তমান প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের কার্যকাল শেষ হচ্ছে আগামী ৮ নভেম্বর। তাঁর উত্তরসূরি প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেবেন ৯ নভেম্বর। মাত্র তিনমাসের জন্য প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন ইউ ইউ ললিত।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হলে তিনি পদে বহাল থাকবেন দু’বছর অর্থাৎ তাঁর কার্যকাল চলবে ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। বিচারপতি চন্দ্রচূড় আইনে স্নাতক হন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পরে এলএলএম এবং জুরিডিক্যাল সায়েন্সে ডক্টরেট করেন আমেরিকার বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
তাঁর পিতা ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়ও ভারতের প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হয়েছিলেন। শিক্ষা শেষে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বম্বে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০০০ সালের ২৯ মার্চ বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন চন্দ্রচূড়। তার আগে ১৯৯৮ সালে তিনি অ্যাডিশনাল সলিসিটার জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।
ইলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিযুক্তি হন চন্দ্রচূড় ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর। ২০১৬ সালের ১৩ মে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে চন্দ্রচূড় বহু মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের ই-কমিটির প্রধান হিসেবে কোভিড প্রাদুর্ভাবের সময় তিনি ভার্চুয়ালি শুনানি শুরু করেছিলেন। তাঁর গুরুত্বপূর্ণ রায়গুলির মধ্যে তিনি পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি হিসেবে পুট্টুস্বামী মামলায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তাকে মৌলিক অধিকারের মর্যাদা দিয়েছিলেন।
বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি লোয়ার মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে রায় দিয়েছিলেন একটি মামলায়। নভতেজ সিং জহর মামলায় সমলিঙ্গীয় যৌনকর্মকে সঠিক এবং আইনত বলে রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।