পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ভোটের মুখে ১০০ দিনের কাজের মজুরি বাড়াল কেন্দ্র। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২১ রাজ্যের ১০০ দিনের কাজের টাকা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার । ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে দৈনিক মজুরি। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে গোয়া। অন্যদিকে সবচেয়ে কম মজুরি বেড়েছে উত্তরপ্রদেশের।
নয়া সংশোধিত তালিকা অনুযায়ী, রাজ্য ভিত্তিক মজুরি বৃদ্ধির তালিকায় প্রথমে রয়েছে গোয়া। দৈনিক ৩৪ টাকা করে বৃদ্ধি করা হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কর্নাটক। ৩৩ টাকা। উত্তরপ্রদেশের সব থেকে কম। দৈনিক ৭ টাকা মজুরি বাড়ল । বাংলায় দৈনিক মজুরি বাড়ানো হয়েছে ১৩ টাকা। ফলে পশ্চিমবঙ্গে মজুরি ২৩৭ টাকা থেকে বেড়ে ২৫০ টাকা হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে নতুন মজুরি কার্যকর হবে।
হরিয়ানার শ্রমিকরা প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩৭৪ টাকা মজুরি পাবেন। সর্বনিম্ন অরুণাচল প্রদেশ এবং নাগাল্যান্ডের জন্য প্রতিদিন ২৩৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৩৪ টাকা বাড়িয়ে গোয়ার দৈনিক মজুরি হয়েছে ৩৫৬ টাকা। উল্লেখ্য, বিজেপি শাসিত গুজরাতে বেতন বৃদ্ধির হার প্রায় ১০ শতাংশ। তবে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেও মজুরি বৃদ্ধির হার বাংলার থেকেও কম। বিজেপি শাসিত অসমে মজুরি বেড়েছে মাত্র ৪.৬ শতাংশ।
মনরেগা তথা ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া হচ্ছে না, বরাবরই কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছে বিরোধী দলনেতারা। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ‘সমাধা’ বার করতে দিল্লি পর্যন্ত গিয়েছে তৃণমূল। খোদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন । ভোটের দিন ঘোষণার আগে থেকেই প্রচার ময়দানে ঝাঁপিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। শাসক দল বিজেপি বনাম প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ঝাঁঝালো আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ রুটিনে পরিণত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ১০০ দিনের কাজে বেতনবৃদ্ধির ঘটনা যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা জোর গলায় বলছে বিরোধী দলনেতারা। পাশাপাশি নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর এই বিজ্ঞপ্তি জারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। যদিও কেন্দ্রের যুক্তি, এই সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার শুধু বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তি ভোটারদের প্রভাবিত করবে বলেও অভিযোগ আনছে বিরোধীরা। সারা দেশের পুরো প্রশাসনই এখন ভারতের নির্বাচন কমিশনের অধীনে ৷ জারি হয়ে গিয়েছে নির্বাচন সংক্রান্ত আদর্শ আচরণ বিধি ৷