পুবের কলম প্রতিবেদক: বাংলার রাজনীতিতে গণআন্দোলন ও ধরনার পথ ধরেই সাফল্য এসেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নানা সময়ে তিনি ধরনার পথকেই বেছে নিয়েছেন। আবারও পুরানো পথেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বাংলার হকের টাকার দাবিতে সরব হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বুধবার এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে রেড রোডে বি আর আম্বেদকর মূর্তির সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন। ওই কর্মসূচি ঘিরে প্রশাসনিক স্তরে প্রস্তুতিও চূড়ান্ত। কেননা, এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল নেত্রী হিসেবে নয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ধরনায় বসছেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর এই নিয়ে তিনবার ধরনায় বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারদা কেলেঙ্কারিতে কলকাতা পুলিশের তৎকালীন কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী রাতভর অবস্থানে বসেছিলেন কলকাতায়। পরে নারদকাণ্ডে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে ইডি গ্রেফতার করার সময়ও তাঁদের মুক্তির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী সটান চলে যান নিজাম প্যালেসে। সেখানে ইডির দফতরে আট তলায় বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য অবস্থান চালান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি নিজাম প্যালেসের গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কয়েকশো তৃণমূল কর্মী। এবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃতীয়বারের জন্য মমতা রেড রোডে ধরনায় বসতে চলেছেন। তা নিজের বা দলের জন্য নয়, রাজ্যের প্রাপ্য টাকার দাবিতে ময়দানে নামছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, আজ দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ধরনা শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতেও অবস্থান মঞ্চে থাকবেন তিনি। বৃহস্পতিবার তিনি রেড রোড ছাড়বেন। রাজ্যের প্রাপ্য আর্থিক দাবিদাওয়া নিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে বহু চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী-সহ অন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের। কিন্তু রাজ্যের হকের সেই টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে। সেই টাকার দাবিতেই তিনি অবস্থানে বসছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা নিয়ে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সভা করবেন শহিদ মিনারের কাছে। মঙ্গলবার শর্ত সাপেক্ষে সেই সভার অনুমতি দিয়েছে আদালত। স্বাভাবিকভাবেই শহরে দুই কর্মসূচি নিয়ে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছে ধর্মতলা এলাকা।