পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান করে দিল কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রক। এবার থেকে সংখ্যালগু সম্প্রদায়ের নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াই বৃত্তি পাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই নির্দেশিকা জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় বিচার করেই ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের বৃত্তির নিয়ম নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার অধিকার আইন ২০০৯ অনুসারে সমস্ত শিশুকেই প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে বাধ্য সরকার। একই ভাবে, সামাজিক ন্যায় বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক ও উপজাতি মন্ত্রকের প্রকল্পে বৃ্ত্তির যোগ্য শুধুমাত্র নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকও বৃত্তি প্রদান করবে শুধুমাত্র নবম ও দশম শ্রেণিতে।”
মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড জানিয়েছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের দেওয়া মাধ্যমিকের আগে, পরে, মেধা ভিত্তিক বৃত্তি প্রদান চালু করা হয়েছিল সাচার কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে। সেখানে বলা হয়েছিল, দেশে শিক্ষার দিক থেকে ব্যাপকভাবে পিছিয়ে রয়েছে মুসলিম শিশুরা। এমন কি, তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়কে থেকেও তারা পিছিয়ে রয়েছে।” তাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা।
জমিয়ত উলেমায় হিন্দের তরফেও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয়েছে। সরব হয়েছে কংগ্রেস সভাপতি মালিকজুর্ন খাড়গে ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করেছেন।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেছেন, মোদিজি আপনার সরকার এসসি, এসটি, ওবিসি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের প্রি-ম্যাট্রিক স্কলারশিপ বন্ধ করে দিয়েছে। গরিব পড়ুয়াদের এভাবে বৃত্তি থেকে বঞ্চিত করার কী অর্থ? দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের থেকে এভাবে টাকা লুট করে আপনার সরকার কত টাকা আয় করবে?
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, কেন্দ্রের সরকারের অমানবিক সিদ্ধান্ত। শিক্ষার অগ্রগতিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হল। মোদি সরকারের কর্তৃত্ববাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে সকলের প্রতিবাদ করা উচিত। সমালোচনায় সরব হয়েছে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টিও। দলের নেতা কুঁয়ার দানিশ আলির অভিযোগ, সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের বৃত্তি থেকে বঞ্চিত করে সরকার আসলে গরিব ছেলেমেয়েদের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে।