পুবের কলম, ওয়েকডেস্ক: গত ৭৩ বছর ধরে প্রশাসনই ভারতের নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ করে আসছে। বাছাই কমিটিতে বিচার বিভাগের কোনও প্রতিনিধি আছেন কি না, তার উপরে নির্বাচন কমিশন বা কোনও প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা কিংবা কর্তৃত্ব নির্ভর করে না। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত নয়া আইনটিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে দায়ের হওয়া একগুচ্ছ মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে এই মন্তব্য করেছে কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রক আরও বলেছে, সদ্যনিযুক্ত দুই নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিং সান্ধু এবং জ্ঞানেশ কুমারের যোগ্যতা নিয়ে আবেদনকারীরা কোনও প্রশ্ন তোলেননি। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি করা। নয়া আইনটি নিয়ে গত ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল বলেই তড়িঘড়ি তার আগের দিন দুই নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করা হয়েছিল—কোর্টে এই অভিযোগও মানেনি কেন্দ্র।
পাশাপাশি, নির্বাচন কমিশনের নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি চলাকালীন আদালতের পর্যবেক্ষণ, নতুন নিযুক্ত কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ও সুখবীর সিং সন্ধুর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন কার্যনির্বাহী দলের বুড়ো আঙুলের অধীন এটা বলা যায় না। লোকসভা নির্বাচনের মুখে কেন্দ্র প্রণীত আইনটিকে ভুল না ভেবে, ভারসাম্য ঠিক রাখা জরুরি বলেও জানিয়েছেন তারা। নতুন আইনে দেশের প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে এক জন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন বাছাই কমিটি গড়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিরোধী দলের নেতা রয়েছেন সেখানে।