দেবশ্রী মজুমদার, নলহাটি (বীরভূম): কেন্দ্র রাজ্য সভায় বিল এনেছে ওয়াকফ বোর্ড তুলে দেবে। তারা চাইছে ওয়াকফ বোর্ড তুলে দিতে। আইন সভায় পাশ করাতে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী পনেরো কোটি দিচ্ছেন ওয়াকফ বোর্ডকে”। আলাদা আলাদা বোর্ড করছেন মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘুদের জন্য। যেমন সংখ্যালঘু উন্নয়ন পর্ষদ এবং সংখ্যালঘু বৃত্তিমূলক উন্নয়ন পর্ষদ। কেন চাইছেন? এমনি এমনি? আরও ভালো ভাবে নিবিড় উন্নয়ন করতে। আর কেন্দ্র চাইছে তুলে দিতে। এভাবেই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নলহাটির নগরা গ্রামে মানুষের কাছে বিজেপি সরকারের আসল চেহারা তুলে ধরলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সাবির সিদ্ধার্থ গাফফার। উপস্থিত ছিলেন মহম্মদ ফয়জুদ্দিন সাহেব, আসগার আলী প্রমুখ।
এদিন পশ্চিম বঙ্গ সংখ্যালঘু কাউন্সিলের সম্বর্ধনা সভায় সংখ্যালঘু (বৃত্তিমূলক) উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান গাফফার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কেন আলাদা আলাদা সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোর্ড এবং সংখ্যালঘু বৃত্তিমূলক উন্নয়ন বোর্ড করেছেন? আগে কোনো সরকার করেন নি। আজকে বিডিওর কাছে দরখাস্ত করলে তা ডোমা বা বিত্তনিগমের কাছে পৌঁছে যাবে। সংখ্যালঘু মা ভাই বোনেদের প্রযুক্তিগত ভাবে দক্ষ করতে হবে, এই লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। আমরা দেখেছি, সংখ্যালঘুদের একটা বিরাট অংশ পরিযায়ী শ্রমিক।
বিজেপি শাসিত রাজ্যে সংখ্যালঘুদের এমন এমন কাজ দেওয়া হচ্ছে বলার নয়। তাদের লাশ আসছে ঘরে। আমাদের রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য পরিযায়ী শ্রমিককল্যাণ পর্ষদ খুলেছে। বীরভূমের ছেলে সামিরুল ইসলাম তার চেয়ারম্যান। এই পরিযায়ীদের মধ্যে সংখ্যালঘু, দলিত ও বৌদ্ধ সবাই আছেন। রাজ্য সরকার ব্যবস্থা করেছে বৃত্তি মূলক শিক্ষার মাধ্যমে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্কিল ডেভেলপমেন্ট সার্টিফিকেট প্রদানের ব্যবস্থা করা। এই সার্টিফিকেট থাকলে যথাযথ কাজ এবং বেশি বেতন পাওয়া যাবে। এই চিন্তা একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছেন।