পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাট: সিসি ক্যামেরার মুড়ে ফেলা হল সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার শেখ শাহজাহানের বাড়ির এলাকা। গৃহবন্দী হলাম, দ্রুত আইনি নিষ্পত্তি ঘটুক, স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরে আসুক। এমনই আবেদন শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীরের। তিনি জানান, গত কয়েকদিন আগে যেভাবে আমাদের এই বাড়ির এলাকায় পুলিশের টহলদারি ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের আনাগোনা চলছে তাতে আমরা পরিবারের সবাই আতঙ্কে আছি। তাই ব্যক্তিগতভাবেই আগে আমি সিসি ক্যামেরা বসিয়েছি। এখন কোর্টের নির্দেশে সিসি ক্যামেরা বসানো হল। চারিদিক দিয়ে যেন বদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিঘ্ন ঘটছে। তবু বলব আইনের উপর পূর্ণ আস্থা আছে। আদালতের সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন আমরা মাথা পেতে নেব।
জানা গিয়েছে, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের বাড়ি এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসালো প্রশাসন। পাশাপাশি তৃণমূল নেতার মাছের আড়ত ও ভাটায় নটি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। নজরদারিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে। মনিটরিং করা হচ্ছে দিন ও রাতে। কারা আসছে কারা যাচ্ছে সেই নিয়ে পুরোটাই নজরদারিতে রয়েছে। পুলিশি নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। বুধবার আদালতের নির্দেশে সিট গঠন করেছে রাজ্য প্রশাসন। নির্দেশে বলা হয়েছে, রাজ্যের উচ্চপদস্থ আইপিএস পদমর্যাদা পুলিশ আধিকারিক ও সিবিআই-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা আদালতের নজরদারিতেই তদন্ত চালাবে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি মধ্যে একটি রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।
শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর বলেন, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত শেখ শাহজাহান বলা হচ্ছে। ভাই দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত যা রায় দেবে আমরা মাথা পেতে নেব। আমাদের পূর্ণ ভরসা রয়েছে আদালতের উপর। কিন্তু শাহজাহানের যে বাড়িটাতে ইডি রেড করতে এসেছিল, সেই এলাকায় আমরা চার ভাই আলাদা আলাদা বাড়িতে বাস করি। আমাদের ওপর যেভাবে পুলিশি নজরদারি চলছে তাতে এক প্রকার গৃহবন্দী বলেই মনে হচ্ছে। বাড়ির বাচ্চাদের স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। টিউশন পড়াতে আসছে না গৃহ শিক্ষকরা। সামাজিকভাবে যেন বয়কটের মধ্যেই পড়ে গেছি। আমাদের দাবি অবিলম্বে এই সব থেকে নিষ্কৃতি দিতে আইনিভাবে দ্রুত নিষ্পত্তি ঘটুক।