পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: যেন আগুন ঝরছে। প্রখর তাপে পুড়ে যাচ্ছে সাদা চামড়া। যত্রতত্র জলাশয় খুঁজে ফিরছে মানুষ। জলের তলায় ডুবে থাকলেই যেন শান্তি। মঙ্গলবার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে কানাডা। এর আগে ১৯৩৭ সালে সর্বোচ্চ ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল দেশটিতে। বিগত কয়েকদিনে অস্বাভাবিক দাবদাহের জেরে কানাডায় বিভিন্ন প্রদেশ মিলিয়ে অন্তত ২৩০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে। প্রদেশটিতে মৃতদের বেশিরভাগই প্রবীণ নাগরিক।
শীত ও তুষারপাত দেখে কানাডীয়রা অভ্যস্ত থাকলেও এবারের ঘটনায় সব হিসেব উলটে গিয়েছে। টানা তৃতীয় দিনের মতো রেকর্ড তাপমাত্রা উঠেছে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার লিটনে। কেউ কেউ বলছেন, গায়ে ফোস্কা পড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ভ্যানকুভারের বার্নাবি অঞ্চলে পুলিশকর্মীরা জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রতিবেশীদের খোঁজখবর রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।
পুলিশের মতে, ভ্যানকুভারের বার্নাবি এবং সারে’তে ৬৯ জন মানুষ মারা যাওয়ার পেছনে তাপমাত্রাই দায়ী। লিটনের একটি গ্রামের বাসিন্দা মেগান ফ্যানড্রিচের কথায়, ’ঘরের বাইরে যাওয়া একেবারেই অসম্ভব। পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে উঠেছে।’
কানাডার জলবায়ু বিশারদ ডেভিড ফিলিপস বলেছেন, ’আমরা হলাম বিশ্বের সবচেয়ে ঠাণ্ডা ও তুষারপাতের দিক দিয়ে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার দেশ। মাঝে মাঝেই এখানে শৈত্যপ্রবাহ হয়। কিন্তু কখনও এমন ভয়াবহ গরম আবহাওয়ার কথা শুনিনি। আমরা এখন যে তাপমাত্রা দেখছি এর চেয়ে অনেক ঠাণ্ডা দুবাই।’