পুবের কলম প্রতিবেদক: ব্রিগেডের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে ময়দানের খুঁটিনাটি সব কিছুই নিজের নজরে রেখেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, প্রার্থী তালিকার বিষয়েও দায়িত্বে সেই অভিষেকই। দলে যোগদান করানো থেকে ভোটের মুখে প্রচারের সুর বেঁধে দেওয়া সব কিছুরই দায়িত্ব অভিষেকের কাঁধে। দলের বেশির ভাগ নেতার মতে, এমনটা হওয়াটাই তো স্বাভাবিক। দলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ তো তিনিই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, অভিষেক মানেই নতুন স্ট্র্যাটেজি, নয়া চমক। চমকপ্রদ ন্যারেটিভ নির্মাণ করে হাওয়া ঘুরিয়ে দেওয়ার কৌশল হাতের মুঠোয় ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই ব্রিগেড সমাবেশ ঘিরে নতুন কী কী চমক থাকছে তা নিয়ে উৎসাহ কিছু কম নেই রাজনৈতিক মহলের।
প্রথমেই থাকছে মঞ্চ নির্মাণে অভিনবত্ব। তিনটি মঞ্চের সঙ্গে জনগণকে সংযুক্ত করতে থাকছে ৩৩০ ফুট দীর্ঘ র্যাম্প বা পাটাতন। সাধারণত কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর সমাবেশে এধরণের র্যা ম্প দেখা যায়। তবে তা আয়তনে ছোট হয়। তবে, তৃণমূলের ব্রিগেডের জন্য নির্মিত বিশাল আকারের র্যা ম্প তৃণমূল তো বটেই এর আগে বাংলার কোনও রাজনৈতিক দলের সমাবেশেও দেখা যায়নি। টিম তৃণমূল এই সভার নাম দিয়েছে ‘জন-গর্জন’। নাম থেকেই স্পষ্ট এই সমাবেশ হল রাজনৈতিক প্রত্যাঘাতের। শুধু তাই নয়, দলীয় সূত্রে খবর, সন্দেশখালি কাণ্ডের পর সমালোচনায় জীর্ণ শাসকদল ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে চলেছে এই ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই। পাশাপাশি কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতেও ভোটের আগে ভোকাল টনিক দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, কেন্দ্রের বঞ্চনা ইস্যুকে হাতিয়ার করে মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে শাশকদল তৃণমূল। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার সঙ্গেই থাকবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির এরাজ্যের বিভিন্ন বিষয়ে তদন্তে তৎপরতা সহ একঝাঁক অভিযোগ। অর্থাৎ বিরোধীদের আক্রমণের জবাবে পাল্টা আক্রমণ।
সূত্রের খবর, রবিবারের এই জনসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত করতে গিয়ে বেশ কিছু পদ্ম শিবিরের নেতা ও বিধায়কদেরও যোগদান করানো হতে পারে। এমনকী, বেশ কয়েকজন প্রার্থীর নামও ঘোষণা হয়ে যেতে পারে বলে অনুমান। যদিও, তৃণমূল শিবিরের দাবি, প্রথা মেনে মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাস ভবন থেকেই প্রকাশিত হবে পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা। আর এই সবের দায়িত্বে থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।