পুবের কলম প্রতিবেদক: আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যে চালু হচ্ছে প্যারামেডিক্যালে ব্রিজ কোর্স। এ রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি মিলে প্যারামেডিক্যাল কলেজ রয়েছে ১০২টি। এই কলেজগুলিতে ডিপ্লোমা কোর্স চালু রয়েছে। রাজ্যে যে সমস্ত সরকারি কলেজ রয়েছে শুধুমাত্র সেগুলিতে ২ বছরের ব্রিজ কোর্স চালু করা হবে।
সরকারি ও বেসরকারি মিলে রাজ্যে প্যারামেডিক্যাল কলেজগুলিতে মোট আসন রয়েছে ৩ হাজার। রাজ্য প্যারামেডিক্যাল কাউন্সিলের আধিকারিক ডি কে ঘোষ জানান, ছাত্রছাত্রীদের বহু দিনের দাবি ছিল প্যারামেডিক্যাল কোর্স চালু করতে হবে। পড়ুয়াদের সুবিধার্থে প্যারামেডিক্যাল কোর্স চালু করা হচ্ছে। এই কোর্সের জন্য ইতিমধ্যে সিলেবাস তৈরি করতে দেওয়া হয়েছে পুবের কলমকে জানান তিনি।
এই কোর্স পড়তে হলে সাধারণত খুব বেশি যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। যে কেউই কোনও স্বীকৃত স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করে এই পেশার জন্য নির্দিষ্ট পেশাদারি কোর্সটি করতে পারেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে এর সঙ্গে দ্বাদশ শ্রেণিতে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান বিষয়গুলি থাকাও জরুরি বলে গণ্য হয়। সাধারণত প্যারামেডিকসের কোর্স শেষ করার পরই শিক্ষার্থীরা চাকরি পেয়ে যান। প্যারামেডিকসে সার্টিফিকেট, ব্রিজ কোর্স ছাড়াও এক বছর ব্যাপি ডিপ্লোমা কোর্স, তিন বছর ব্যাপি ব্যাচেলর্স কোর্স, দু’বছর ব্যাপি মাস্টার্স এবং পিএইচডি কোর্স করা যায়।
স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির সঙ্গে বাড়ছে হাসপাতাল, নার্সিংহোম, প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবরেটরির সংখ্যা। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্যারামেডিক্যালে কাজ জানা কর্মীর চাহিদা।
পাশাপাশি আবার অনেক ছাত্রছাত্রীই আছেন, যাঁদের ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন থাকলেও সুযোগ পান না। ফলে ভেবে পান না কী ভাবে এই পেশার সঙ্গে নিজেকে জড়িযেü রাখবেন। তাঁরা প্যারামেডিক্যাল কোর্সগুলি করলে স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজে নিজেদের যুক্ত করতে পারবেন।
ক্রিটিক্যাল কেয়ার টেকনোলজি, ডায়ালিসিস টেকনিশিয়ান, ওটি টেকনিশিয়ান অর্থাৎ অপারেশন থিয়েটার টেকনোলজি, রেডিওগ্রাফি, ফিজিওথেরাপি, অপটোমেট্রি, মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি টেকনোলজি, রেডিওথেরাপিউটিক টেকনিকস, নিউরোইলেকট্রোফিজিওলজি, পারফিউশন টেকনোলজি, ক্যাথ ল্যাব টেকনিশিয়ান, ইসিজি টেকনোলজি, অকুপেশনাল থেরাপি, মেটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ, ড্রাগ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স, নার্সিং ইত্যাদি।
এ রাজ্যে প্যারামেডিক্যাল কোর্স পড়ানো হয় দুর্গাপুরের প্যারামেডিক্যাল কলেজ এবং আইকিউ সিটি মেডিক্যাল কলেজ, কল্যাণীর ড. কে আর অধিকারী কলেজ অব অপ্টোমেট্রি অ্যান্ড প্যারামেডিক্যাল টেকনোলজি এবং বেঙ্গল ইন্সটিটিউট অব ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস, যাদবপুরের আইএএস অ্যাকাডেমি এবং স্কুল অব নার্সিং অ্যান্ড মেডিক্যাল টেকনোলজি বেহালা ইনস্টিটিউট অব অ্যালায়েড হেলথ্ সায়েন্স, বাগুইআটির এমকে প্যারামেডিক্যাল কলেজ, রাজারহাট নিউটাউনের চার্নক হেলথকেয়ার ইন্সটিটিউট, ইমএম বাইপাশের জর্জ গ্রুপ অব কলেজেস, শিলিগুড়ির আদান প্যারামেডিক্যাল অ্যান্ড নার্সিং কলেজ, সল্টলেকের দ্য ওয়েস্টবেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব হেলথ্ সায়েন্স, হুগলি সিঙ্গুরের সেবায়াতন স্কুল অব মেডিক্যাল টেকনোলজি, পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান শহরের গোলাপবাগের বর্ধমান ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেস (বিআইএমএলএস), আসানসোলের এইচএলজি ইন্সটিটিউট, হলদিয়া ইন্সটিটিউট অব হেলথ্ সায়েন্সেস জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের তত্বাবধানে কমন এন্ট্রান্স টেস্ট দিয়ে ভর্তি হতে হয়।