পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাট: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার গোপালপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জামপুর গ্রামের ঘটনা।
জানা যায় হাড়োয়া থানার অন্তর্গত জ্যাঙ্গালআটি গ্রামের বাসিন্দা ১৮ বছরের কুলসুম খাতুন এর সঙ্গে হাড়োয়া থানার অন্তর্গত জামপুর গ্রামের বাসিন্দা আসাদুল মন্ডল এর মাস সাতেক আগে বিবাহ হয়েছিল। অভিযোগ, বিবাহের পর থেকেই পণেরর দাবিতে কারণে অকারণে অত্যাচার শুরু করে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা।
শুক্রবার সকাল নটা নাগাদ বধূর বাপের বাড়িতে হঠাৎই ফোন আসে তাদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেছে। বধূর বাপের বাড়ির সদস্যরা সেখানে গিয়ে দেখেন বধুর নিথর দেহ শোয়ানো রয়েছে খাটে। তারপর হাড়োয়া থানার পুলিশের সহযোগিতায় দেহটি উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ১৮ বছরের কুলসুম খাতুনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ।
তবে পুলিশ জানাচ্ছেন ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ। যদিও পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন বধুকে রাতেই মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে স্বামী আসাদুল মন্ডল, শ্বশুর আহমাদ আলী মন্ডল, শাশুড়ি খোদেজা বিবি এবং ননদ তামান্না খাতুন এর বিরুদ্ধে হাড়োয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বধূর পরিবারের সদস্যরা। বধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে হাড়োয়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।