পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লোকসভা অধিবেশন চলাকালীন সংসদে উত্তেজনা। সংসদের দর্শকাসন লাফ দিয়ে নামে দুজন। ঘটনায় সাংসদের ভিতর থেকে ২ জন ও বাইরে থেকে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গেছে, ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম সাগর। ওই ব্যক্তি মহিশূরের সাংসদের পাস নিয়ে সংসদে ঢুকেছিলেন। শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন অতর্কিতে এই ঘটনায় মানুষ হতচকিত হয়ে পড়ে। কিভাবে কেন এই ঘটনা ঘটল তা এখনও জানা যায়নি।
সংসদের হামলার ২২ বছর পূর্তির দিনে সেই পুরনো আতঙ্ক আবার ফিরে এল। সংসদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। ঘটনার সময় সংসদের মধ্যে ছিলেন রাহুল গান্ধি। তাকে তড়িঘড়ি সাংসদ থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। ছিলেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনিও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে বের হয়ে আসেন। কাকলি এই ঘটনায় সরকারের নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর পুরনো সংসদে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ছিলেন ৫ নিরাপত্তারক্ষী। সে সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী, বিরোধী দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধি। ঘটনায় জঙ্গিগোষ্ঠী জেকেএলএফের প্রাক্তন সদস্য আফজল গুরু, তার ভাই শৌকত হুসেন গুরু, শৌকতের স্ত্রী আফসানা গুরু সহ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষার অধ্যাপক এসএসআর গিলানি। পরে আফসানার গুরুকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আরএআর গিলানির মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা হলেও ২০০৫ সালে শীর্ষ আদালত তার সেই সাজা মকুব করে দেয়। ২০১৩ সালে আফজাল গুরুর ফাঁসি হয়।