পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : তবে কি বাড়ছে পাউরুটির দাম ? সিদ্ধান্ত অবশ্য এখনও হয়নি। ৩০ জানুয়ারি থেকে প্রতি পাউন্ডে একলাফে চার টাকা করে পাউরুটির দাম বাড়বে বলে ইতিমধ্যেই বাজারে খবর ছড়ানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আম জনতার। তবে ওয়েস্ট বেঙ্গল বেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কার্যকর্তা আরিফুল ইসলামের কথা কিন্তু বঙ্গবাসীকে আশারবানী শুনিয়েছেন।
তিনি বলেছেন যারা পাউরুটির দাম বাড়ানোর কথা বলছে তারা আসলে হাতে গোনা কয়েকটি বেকারি। তারা গোটা বাংলার বেকারি নয়। তারাই বাজারে পাউরুটির দাম বাড়ানোর এই হওয়াটা তৈরী করেছে। তারা অনেকেই প্রভাবশালী। ফলে এই হাওয়াটা মিডিয়া মারফত জনগণকে খাইয়ে দিতে তাদের অসুবিধা হয়নি।
আরিফুল ইসলাম বলেন এই বেকারিগুলি বাংলার মানুষকে বোকা বানিয়েছে। জানুয়ারির ৪ তারিখ থেকে এই কাজটি শুরু হয়।মানুষ খানিকটা বোকা বেনে যান। ১২ টাকার রুটি অনেকে ১৪ তাকে কিনতেই বাধ্য হন। তিনি আরও বলেন,বাংলার বেশিরভাগ বেকারি এই করোনাকালে পাউরুটির দাম বাড়াতে চাইছে না ।
আরিফ বলেন, এমন পরিস্থিতে একটা বিভাজন হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে যারা দাম বাড়াতে চাইছে তারা আমদের ওপর রাগ করতেই পারেন। কারণ আমরা দাম বাড়ানোর বিপক্ষে। সে কথা জানিয়ে আমার নবান্নে মুখ্য সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছি। তাতে আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, কেন আমরা পাউরুটির দাম বাড়তে চাইছি না। কেবল মুখ্যসচিব নয়, আমরা পুলিশ কমিশনার ও ডিজিকেও বিষয়টি জানিয়ে রেখেছি।
যেকটি বেকারি দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের দাবি, তারা আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে নয়া দাম কার্যকর করবে। এই বেকারিগুলির দাবি মোতাবেক আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে তাদের ৪০০ গ্রাম বা এক পাউন্ড পাউরুটির প্যাকেট বিকোবে ২৮ টাকা করে এবং ২০০ গ্রাম বা হাফ পাউন্ড পাউরিটি বিকোবে ১৪ টাকায়। তাছাড়া একশো গ্রাম প্লেন পাউরুটির চার পিসের প্যাকেটের দাম হবে তিরিশ টাকা।ওয়েস্ট বেঙ্গল বেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কার্যকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, আগামী তিন মাস দাম বাড়ানোর কোনও সিদ্ধান্ত তাঁদের নেই। যে ৬-৭ বেকারি দাম বেকারি দাম বাড়ানোর কথা বলেছে তাঁর সঙ্গে সামগ্রিক বাংলার সম্পর্ক নেই।