পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: গাজায় দখলদার ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পশ্চিমা পণ্য বয়কট চলছে। মিশর, জর্ডান, কুয়েত এবং মরক্কোর সাধারণ মানুষ ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশে পশ্চিমা সামগ্রী কেনা বন্ধ রেখেছেন। এর ফলে বেশ কয়েকটি পশ্চিমা পণ্যের বিক্রিতে বিপুল ধস নেমেছে। কয়েকদিন আগে মিশরের রাজধানী কায়রোতে ম্যাকডোনাল্ডসের একটি রেস্তোরাঁয় যান এক সাংবাদিক। গিয়ে দেখতে পান দোকানে কেউ নেই। শুধু রয়েছেন একজন সাফাইকর্মী। কায়রোতে অন্যান্য পশ্চিমা ফাস্টফুড চেইনের শাখাগুলোও এখন খালি অবস্থায় রয়েছে।
বড় পশ্চিমা ব্র্যান্ডগুলো মিশর ও জর্ডানে বয়কটের সবচেয়ে বেশি প্রভাব টের পাচ্ছে। ধীরে ধীরে কুয়েত এবং মরক্কোতেও পশ্চিমা পণ্য বিক্রি কমেছে। তবে সউদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে বয়কটের তেমন প্রভাব পড়েনি। যেসব ব্র্যান্ডের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হয়েছে, সেগুলো মূলত ইসইলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এমনকি কয়েকটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে ইসরাইলের অর্থনৈতিক সম্পর্ক থাকারও অভিযোগ রয়েছে। ইন্টারনেটে কয়েকটি পণ্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে এবং এগুলোকে পুরোপুরি বর্জনের ডাক দিয়েছেন মুসলিমরা।
এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে দোকানদাররাও সেসব পণ্য সরিয়ে স্থানীয় পণ্য দিয়ে নিজেদের দোকান সাজাচ্ছেন। রিহাম হামেদ নামে কায়রোর এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘আমি মনে করি যদিও যুদ্ধে এটি বড় কোনও প্রভাব ফেলবে না, কিন্তু অন্য দেশের মানুষ হিসেবে আমরা অন্তত এটি করতে পারি। আমাদের হাত যেন রক্তে মাখা না হয়।’
জর্ডানে বয়কটে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা প্রায়ই ম্যাকডোনাল্ডস ও স্টারবাকসের শাখাগুলোতে প্রবেশ করে ক্রেতাদের কোনও খাবার না কিনতে উদ্বুদ্ধ করছেন। জর্ডানের রাজধানী আম্মানের একটি বড় সুপারশপের ক্যাশিয়ার আহমাদ আল-জারো বলেন, ‘কেউ পশ্চিমা পণ্য কিনছেন না। কাস্টমাররা স্থানীয় পণ্য কিনছেন।’
কুয়েতে মঙ্গলবার স্টারবাকস, ম্যাকডোনাল্ডস ও কেএফসির সাতটি শাখায় গিয়েছিলেন এক সাংবাদিক। তিনি সবগুলো শাখাই প্রায় খালি পেয়েছেন। স্টারবাকস তাদের ওয়েবসাইটে দাবি করেছে, ইসরাইলি সরকার ও সেনার সঙ্গে তাদের বিশেষ কোনও সম্পর্ক নেই।তবে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে একটি পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্টারবাকস তাদের ইউনিয়নের শ্রমিকদের শোকজ করেছিল। অপরদিকে ম্যাকডোনাল্ডসের ইসরায়েলি শাখা ইসরায়েলি সেনাদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। এ দুটি বিষয়ই সবার চোখে পড়েছে।